এখন শুধুমাত্র ক্যাব নয়, তার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন শহরে বাইক এপ্লিকেশনের জনপ্রিয়তা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব যাওয়ার জন্য গাড়ি থেকে অনেক কম খরচ হয় এই ধরনের বাইকে। তবে, শুধুমাত্র টাকা দিক থেকেই নয়, জ্বালানি খরচের দিক থেকেও কিন্তু এটা অনেকটা বেশি সাশ্রয়ী। এই কারণেই দেশের বিভিন্ন শহরে আজকাল এই ধরনের বাইকের একটা দারুণ জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছে। তবে এবারে পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য রয়েছে একটা নতুন সুখবর। জানিয়ে রাখি রাজ্য পরিবহন দপ্তর এবারে কম খরচে সরকারি বাইক এপ্লিকেশন পরিষেবা চালু করতে চলেছে। ইতিমধ্যেই এই দপ্তরের কর্তা ব্যক্তিরা এই সম্পর্কে একটি বৈঠক সেরে ফেলেছেন। আর এই নতুন পরিষেবা চালু হলে, বাংলা সাধারণ নাগরিকদের যে সুবিধা হবে সেটা নিয়ে আর নতুন করে কিছু বলার নেই।
রাজ্য সরকারের পরিবহন দপ্তর সূত্রের খবর, আপাতত একটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই নতুন পরিষেবা চালু করছে রাজ্য সরকার। কলকাতা শহরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সর্বপ্রথম এই পরিষেবা চালু হবে। যদি এই বাইক পরিষেবা সফলতা পায়, তাহলে তিলোত্তমার বিভিন্ন জায়গায় এই পরিষেবা শুরু হবে। আর সমস্ত সফল হলে, রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিতে এই নতুন পরিষেবা শুরু করবে মমতা সরকার।
আপনার অনেকেই জানেন, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার, যাত্রী সাথী অ্যাপের মাধ্যমে সরকারি অ্যাপ ক্যাব ট্যাক্সি পরিষেবা শুরু করেছিল। সেই পরিষেবা মোটামুটি ভালই সফলতার মুখ দেখেছে। যাত্রী সাথী পরিষেবার মাধ্যমে, কলকাতার অনেকেই ট্যাক্সি বুক করেছেন। বর্তমানে এই প্রজেক্ট বেশ সফল। তাই এবারে নতুন করে, বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা নিয়ে আসছে সরকার। খবর মিলছে, কলকাতা হাওড়া শিয়ালদা স্টেশন দমদম ভিআইপি রোড এবং বিধান নগরে এই মুহূর্তে এই পরিষেবা শুরু করা হবে। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে এই অঞ্চল গুলিকে বেছে নেওয়া হয়েছে এই ট্রায়াল করার জন্য। পরিবহন দপ্তরের এক কর্তা বলছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চালকরা নিয়মিত থেকে বেশি ভাড়া চেয়ে বসেন যাত্রীদের কাছ থেকে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে যাত্রীরা কোনরকম হয়রানির শিকার হবেন না। এই যাবতীয় অভিযোগের সমাধান করবে রাজ্য সরকার। ফলে মানুষ থাকবেন রাস্তায় অনেক বেশি সুরক্ষিত