২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে পেয়ে যান ৩৮ লাখ টাকা, জানুন কিভাবে এবং কোথায়
আপনি খুব সহজেই লাখ লাখ টাকা রোজগার করতে পারেন মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা বিনিয়োগ করে
আজকের দিনে ভারতের ব্যাংক গুলিতে টাকা রাখলে খুব একটা লাভের সম্ভাবনা থাকে না। এখনকার দিনে যেহেতু মুদ্রাস্ফীতি অনেক বেশি তাই টাকার মূল্য দ্রুত হারে হ্রাস পেতে শুরু করেছে। সেই কারণে বিভিন্ন ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে দিতে শুরু করেছে। বিশেষত সেভিংস ব্যাংক একাউন্টে এখন আর সুদ একেবারেই পাওয়া যায় না। তাই এখন আপনার জন্য সবথেকে ভালো বিনিয়োগের জায়গা হয়ে উঠেছে মিউচুয়াল ফান্ড। আপনি যদি প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা করে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন তবে আপনি ৩৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কিন্তু সঞ্চয় করতে পারবেন। আজকের প্রতিবেদনে আমরা আপনাকে জানাবো কিভাবে মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগ করলে আপনি লাভবান হতে চলেছেন।
প্রথমেই আপনাকে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য একটা ভাল ফান্ড বেছে নিতে হবে। আপনি যদি প্রথমবার মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে চান তবে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে একটা ভালো এসআইপি গ্রহণ করুন। আপনি সিস্টেমিক ইনভেস্টমেন্ট প্লান বেশ ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি নিয়মিতভাবে বিনিয়োগ করে একটা দারুন তহবিল তৈরি করতে পারবেন।
এস আই পি হলো এমন একটি জায়গা যেখানে আপনি প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ২৫ বছর পর একটা মোটা টাকার তহবিল তৈরি করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ ২৫ বছর পর্যন্ত কিন্তু আপনার ফান্ড একই ভাবে রিটার্ন দিয়ে যেতে হবে। আপনি যদি ২৫ বছর টানা বিনিয়োগ করেন তবে আপনি ৩৭ লক্ষ ৯৫ হাজার ২৭০ টাকা পেয়ে যাবেন একেবারে ম্যাচিউরিটির সময়। এই টাকা আপনি অনায়াসেই আপনার সন্তানের বিবাহ শিক্ষা অথবা বাড়ি কেনার মত জায়গাতে খরচ করতে পারেন।
যদি আপনি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে চান তাহলে কিছু বিষয়ে মাথায় রাখবেন। এটা কিন্তু খুব কম পরিমাণ ঝুঁকি থাকলেও কিছু ঝুঁকি থাকছেই। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। এক্ষেত্রে লাভবান হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং ক্ষতি হবার সম্ভাবনা খুবই কমে যায়। পাশাপাশি আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, আপনি যখন বিনিয়োগ করবেন তখন এমন একটি ফান্ডে বিনিয়োগ করবেন যার ঝুঁকির মাত্রা অনেক কম। যদি ঝুঁকির মাত্রা কম হয় তাহলেই কিন্তু আপনার রিটার্ন ভালো হবে। এরকম কয়েকটি ভালো ফান্ডের মধ্যে অন্যতম হলো ডেভেলপমেন্ট ফান্ড গ্লোবাল ফান্ড এবং ইলেক্ট্রনিক্স ফান্ড। এ ধরনের ফান্ডে সাধারণত ঝুঁকি খুব একটা থাকে না।