(Indian railways) একটি ট্রেনে কত ধরনের গিয়ার থাকে? কিভাবে একটি ট্রেন ১০০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার গতিতে পৌঁছায় এত সহজে
ভারতীয় রেল এই মুহূর্তে ভারতের লক্ষ লক্ষ যাত্রীকে প্রতিদিন নিজের গন্তব্যস্থলে পৌঁছায়
আজকের দিনে ভারতীয় রেল প্রতিদিন ২ কোটিরও বেশি মানুষকে নিজের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিয়ে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে এর সাথে সম্পর্কিত সব কিছু বিষয়ে জানতে আগ্রহী থাকেন সাধারণ মানুষ। ট্রেন চালাতে অনেক জিনিসের ব্যবহার করতে হয়। আপনার মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন থাকতে পারে ট্রেন চালাতে কোন কোন জিনিস আদতে কাজে লাগে। এরকম অনেক প্রশ্নের উত্তর আজ আমরা আপনাকে জানাতে চলেছি। আজ আমরা আপনাকে জানাবো ট্রেনটি কিভাবে ১০০ কিলোমিটার গতিতে পৌঁছায় একেবারে মুহূর্তের মধ্যে। এছাড়াও আপনাকে জানাবো ট্রেনের ইঞ্জিনে কতগুলি গিয়ার দেওয়া থাকে।
ট্রেনে যাত্রী ভর্তি সরানোর জন্য বেশ কিছু গিয়ার রয়েছে। এগুলি কিন্তু আদতে গিয়ার নয়, অন্য কিছু। ডিজেল লোকোমোটিভ ইঞ্জিনে চারটি গিয়ার সরবরাহ করা হয় তবে এগুলিকে গিয়ার বলা হয় না, বলা হয় নচ। গাড়ি বা বাইকে গিয়ার পরিবর্তন করলে যেরকম গতি বাড়ে, সেরকমই এই ধরনের গিয়ার ট্রেনের গতি বাড়িয়ে দিতে পারে সহজেই। ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ স্পর্শ করতে ট্রেনের খুব একটা বেশি সময় লাগে না। নচের অষ্টম অবস্থানে গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার এর উপরে চলে যায। একই সময়ে, যখন ট্রেনের গতি কমাতে হয় তখন নচ কমানো হয়।
ট্রেন যখন একটি নির্দিষ্ট গতিসিমায় চলে যায় তখন ইঞ্জিন চালক নচ সেট করে দেন। এই সময় আর নচ পরিবর্তন বারবার করতে হয় না এবং ট্রেন একই গতিতে চলতে থাকে। বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন ঠিক এরকমই একটি স্বয়ংক্রিয় গাড়ির মতো কাজ করে। যেরকম ভাবে স্বয়ংক্রিয় গাড়িতে গিয়ার স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবর্তিত হয়, ঠিক তেমনভাবেই বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনে নচ পরিবর্তন করার দরকার পড়ে না, নিজে থেকেই সেটা সেট হয়ে যায়