বলিউড এমন একটি দুনিয়া যেখানে প্রতিদিন বহু অভিনেতা অভিনেত্রী আসেন এবং নিজের গ্ল্যামারের মাধ্যমে সকলের মন জয় করে ফেলেন। অভিনয়ের জগতে এরকম বহু অভিনেতা রয়েছেন যারা এভাবেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। আপনাদের জানিয়ে রাখি বলিউডে এক সময় ঝড় তুলেছিলেন অভিনেত্রী সাক্ষী শিবানন্দ। ‘আপকো ভি কাহিন দেখা দেহা হ্যায়’ ছবির মাধ্যমে তিনি রাতারাতি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। ‘ফির ওহ অ্যাসি আঁখেন না দেখি হো বা বাবা কি রানি হুঁ কুছ ভি না কাহা’ এবং ‘আপকি ইয়াদ আয়ে তো দিল কেয়া করে’ গানগুলি আজও সকলের মনে গেঁথে আছে। তিনি কখনও কখনও তিনি পর্দায় সুনীল শেঠির বোনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন এবং অমরীশ পুরীর মেয়েও হয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি অভিনয় জগত থেকে চলে যান এবং গুমনামী জীবনযাপন শুরু করেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে, সাক্ষী শিবানন্দ অভিনয় জগত ছেড়ে দেওয়ার কারণ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, একটি ছবির শ্যুটিংয়ের সময় তাকে আন্ডারওয়ার্ল্ড জগতের হুমকি দেওয়া হয়। তাকে দুবাই গিয়ে এক ডন-এর সাথে দেখা করার জন্য বলা হয়। ভয়ে তিনি হতবুদ্ধি হয়ে পড়েন এবং অবশেষে অভিনয় জগত থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, ১৯৯৫ সালে ‘জনম কুন্ডলি’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে এই অভিনেত্রী বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। সেই সিনেমা হিট না হলে বলিউড ছেড়ে দেওয়ার পর সাক্ষী দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে মনোনিবেশ করেন। ‘ইন্দ্রপ্রস্তম’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। চিরঞ্জীবী, নাগার্জুন, মহেশ বাবু-র মতো সুপারস্টারদের সাথে অভিনয় করে তিনি দক্ষিণ ভারতেও জনপ্রিয় অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন। তবে ২০১৪ সালে একটি ছবিতে অভিনয়ের পর এই অভিনেত্রী অভিনয় জগত থেকে বিরতি নেন। বর্তমানে তিনি স্বামী ও সন্তানের সাথে সুখী সংসার পরিচালনা করছেন।