প্রবীণ নাগরিকদের জন্য রেলের ভাড়ায় ছাড় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। প্রায়ই এটি পুনরুদ্ধার করার বিষয়ে কথা বলা হয়। বিষয়টি সংসদের দুই কক্ষ লোকসভা ও রাজ্যসভাতেও উত্থাপিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এখন প্রবীণ নাগরিকদের ছাড় অর্থাৎ সিনিয়র সিটিজেন ছাড় সম্পর্কে একটি নতুন আপডেট দিয়েছে। বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে আহমেদাবাদ সফরে যাওয়া কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আহমেদাবাদে এ বিষয়ে কথা বলেন। এ সময় প্রবীণ নাগরিক ও স্বীকৃত সাংবাদিকদের জন্য রেলের ভাড়ায় ছাড় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।
প্রশ্ন করা হলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সরাসরি উত্তর না দিলেও তিনি কিছু আভাস দিয়েছেন। ছাড়ের প্রশ্নে তিনি বলেন, সব ট্রেন যাত্রী ইতোমধ্যে ভাড়ায় ৫৫ শতাংশ ছাড় পাচ্ছেন। কোভিড-১৯ মহামারীর আগে প্রবীণ নাগরিক এবং স্বীকৃত সাংবাদিকরা রেলের ভাড়ায় ৫০ শতাংশ বিশেষ ছাড় পেতেন। করোনা মহামারির সময় দেশে লকডাউন হয়েছিল, সেই সময় ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটল, যখন দেশে ট্রেনের চাকাও থেমে যায়। পরে ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল শুরু হয় এবং ২০২২ সালের জুনে পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করা হয়। তবে রেলের কার্যক্রম আবার স্বাভাবিক হলে প্রবীণ নাগরিক ও স্বীকৃত সাংবাদিকদের জন্য ভাড়ায় ছাড় বাতিল করা হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার এর আগেও বহুবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে প্রবীণ নাগরিকরা রেলের ভাড়ায় আর ছাড় পাচ্ছেন না। রেলমন্ত্রী সরকারের একই যুক্তির পুনরাবৃত্তি করে বলেন, রেলের সব যাত্রী ভাড়ায় ৫৫ শতাংশ ছাড় পাচ্ছেন। এ কথা তিনি আগেও বলেছেন। কোনও রুটের ট্রেনের টিকিটের দাম যদি ১০০ টাকা হয়, তাহলে রেলের তরফে নেওয়া হচ্ছে মাত্র ৪৫ টাকা, অর্থাৎ প্রত্যেক যাত্রীকে ১০০ টাকার টিকিটে ৫৫ টাকা ছাড় দেওয়া হচ্ছে।