গৌরনাথ চক্রবর্ত্তী, কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমানঃ কাটোয়া শহরের প্রাণের উৎসব কার্তিক লড়াই।লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে।রবিবার থেকে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী কাটোয়ার কার্তিক পুজো।অনুমোদন নিয়ে শহরে সব মিলিয়ে ৮৭ টি পুজো হয়।এর বাইরেও ছোট-খাটো পুজো হয় পুরো কাটোয়া জুড়ে।১২ টি থিমের পুজো হয়।প্রায় ৭০ টি পুজো কমিটি অংশ নিয়েছে কার্তিক লড়াইয়ের শোভাযাত্রায়। সোমবার ঐতিহ্যবাহী কার্তিক লড়াই।
ঐতিহ্যবাহী কাটোয়ার কার্তিক লড়াইয়ের শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে।এই লড়াইয়ের শোভাযাত্রা ঘিরে সোমবার জনজোয়ারে ভাসল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহর।এদিন বিকাল থেকেই কাটোয়া শহর জুড়ে শোভাযাত্রা শুরু হয়।আশেপাশের গ্রাম থেকে বহু মানুষ শোভাযাত্রা দেখতে ভিড় জমিয়েছেন।প্রশাসনের স্থির করা রুট ম্যাপ অনুযায়ী শোভাযাত্রা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ঝংকার, খড়েরবাজার সার্বজনীন, ঝাউতলগলি,সাতভাই, নটরাজ,নাগরাজ,মৈত্রীসংঘ,নবীন,প্রভাতী সংঘ,পঞ্চাননতলা সার্বজনীন, যুবশক্তি, সবুজপাতা, অক্সিজেন, কিশলয়,ঐকতান, প্রভৃতি ক্লাবের আধুনিক আলোর রশনাই, প্রতিমা, সাঁওতালি নৃত্য, চার পাঁচ রকমের বাজনা সহ শোভাযাত্রা বার হয়।
পাশাপাশি এদিনও বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপগুলিতে ও ভিড় ছিল একইরকম।দর্শনার্থীদের লম্বা লাইন দেখা যায়।কাটোয়ার বিগবাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম কাটোয়ার দেশবন্ধু ক্লাবের পুজো।এখানে মণ্ডপের থিম জাপানের বৌদ্ধ মন্দির।মণ্ডপের আদল থেকে ভিতরের সাজসজ্জা সবই জাপানের বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে করা হয়েছে।
কাটোয়ার জনকল্যাণ ক্লাবের মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের আদলে একটি কাল্পনিক মন্দির। কাটোয়ার ইউনিক ক্লাবের থিম আদিবাসী দেবতা।বিভিন্ন আদিবাসী দেবতাদের মতো তৈরি মডেল দিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা মণ্ডপ।মণ্ডপের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে আদিবাসী উপসনার পরিবেশও।
কাটোয়ার পানুহাট নিউ আপনজন ক্লাবের থিম কাল্পনিক শিব মন্দির।এখানে কার্তিকে আছে ৫৩ টি মাথা ও ১০৬ টি হাত।
পানুহাট ইয়ং বয়েজ ক্লাবে পরিবেশ ও গাছ বাঁচানোর বার্তা দিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ।
এদিন কার্তিক লড়াইয়ের শোভাযাত্রায় কোন রকম অশান্তি এড়াতে গোটা শহরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।বিকাল থেকেই শহরের ভিতরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।শহরে কোনও বড় গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হয় নি।সুষ্ঠুভাবে কার্তিক লড়াই পরিচালনা করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন পুলিশ ও কাটোয়া পৌরসভা।নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহর।
পৌরসভা তরফে জানা গিয়েছে, শহরে নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন প্রান্তে সি সি ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে পৌরসভার শিবির।শহরের প্রত্যেকটি মোড়ে রয়েছে পুলিশ।
।চন্দননগর ও বিভিন্ন জায়গা থেকে আনা অত্যাধুনিক আলোকসজ্জা কাটোয়ার কার্তিক লড়াইয়ের শোভাযাত্রাকে আলোর রশনায়ে ভরিয়ে দেয়।পুলিশ প্রশাসন ও কাটোয়া পৌরসভার সহযোগীতায় সুষ্ঠুভাবে কাটোয়ার কার্তিক লড়াইয়ের শোভাযাত্রা চলছে।