Investment Scheme: কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে প্রচুর টাকা পাবেন মহিলারা, জানুন এখানে
মহিলাদের জন্য এখনকার দিনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এসে হাজির হয়েছে
সময় বদলাচ্ছে আর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমস্ত কাজে এগিয়ে আসছেন মহিলারা। বিভিন্ন মাধ্যমে বিনিয়োগের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে মহিলাদের। আজকের দিনে বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগে মহিলারা বিনিয়োগ করতে শুরু করেছেন। সেই কারণেই ভারত সরকারের তরফ থেকেও বিভিন্ন স্পেশাল প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্যই যেখানে দীর্ঘ মেয়াদে ভালো রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেরকমই কয়েকটা প্রকল্পের ব্যাপারে বিস্তারিত।
এই তালিকায় সবার প্রথমে আসে সিস্টেমিক ইনভেসমেন্ট প্ল্যান অর্থাৎ এসআইপি। মিউচুয়াল ফান্ডে বড় কিংবা মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ করা যায়। আবার যদি আপনি মোটা অংকের টাকা একসাথে বিনিয়োগ না করতে পারেন তাহলে আপনি মিউচুয়াল ফান্ডে এই এসআইপি বেছে নিতে পারেন। বেশিরভাগ মহিলা বিনিয়োগকারী এসআইপি বেছে নিয়ে থাকেন কারণ পাঁচশো টাকারও কম পরিমাণ অর্থ মাসিক বিনিয়োগ করে আপনি এই মিউচুয়াল ফান্ড চালাতে পারেন। একবারে মোটা অংকের বিনিয়োগ বিকল্পের পরিবর্তে বিনিয়োগকারীরা এক মাসে অথবা তিন মাসের ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়সীমার জন্য টাকা জমা করতে পারেন। আর সবথেকে বড় ব্যাপারটা হল, এখানে আপনারা ভালো রিটার্ন পেয়ে যাচ্ছেন এবং বিনিয়োগকারির পোর্টফোলিও আরও বৈচিত্রপূর্ণ হয়ে উঠছে। লো থেকে মিডিয়াম রিস্ক অ্যাপেটাইটের নিরিখে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ সমস্ত মহিলা বিনিয়োগকারীদের জন্য আদর্শ।
দ্বিতীয় পলিসি হলো পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড। এটি একটি অন্যতম নিরাপদ এবং সরকার পরিচালিত একটি প্রকল্প যেখানে মহিলা বিনিয়োগকারীরা নিজেদের টাকা বিনিয়োগ করে দারুন রিটার্ন পেতে পারেন। যারা একেবারেই ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন না তারা কিন্তু এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করবেন। নির্ধারিত সময়সীমার পরে একটা ভালো অংকের রিটার্ন আপনি পেতে পারেন এই প্রকল্পে। এই প্রকল্পের সব থেকে ভালো কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো, আপনারা সমস্ত ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এই পি পি এফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এটি হলো একটি নিরাপদ বিনিয়োগ তথা সেভিংস প্রকল্প যা সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। এতে কোন ঝুঁকি পাবেন না এবং ভবিষ্যতে আপনি ভাল রিটার্ন পেতে পারেন। ২০২২ ২৩ অর্থবর্ষে পিপিএফ বিনিয়োগের বার্ষিক সুদের হার ৭.১ শতাংশ। এই প্রকল্পে ১৫ বছরের লক ইন পিরিয়ড রয়েছে যা আরো পাঁচ বছরের জন্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। Ppf অ্যাকাউন্টের সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করা যেতে পারে একসাথে। ১৯৬১ সালের আয়কর আইন অনুযায়ী ৮০সি ধারায় আপনি পিপিএফ ট্যাক্স বেনিফিট পেতে পারেন ।
এছাড়াও আরো কয়েকটি বিনিয়োগের মধ্যে অন্যতম হলো ফিক্স ডিপোজিট প্রকল্প। সমস্ত ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এই সুবিধা রয়েছে। তবে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভিত্তিতে সুদের হার পরিবর্তিত হতে পারে ফিক্স ডিপোজিট এর ক্ষেত্রে। ভবিষ্যতে আপনি যদি ভালো পরিমাণ অর্থ রিটার্ন পেতে চান তাহলে এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন। ফিক্স ডিপোজিটে বার্ষিক সুদের হার মোটামুটি ছয় শতাংশের কাছাকাছি হয়ে থাকে। সাত দিন থেকে দশ বছরের মেয়াদের জন্য আপনি বিনিয়োগ করতে পারেন এই প্রকল্পে
এছাড়াও আপনারা বিনিয়োগ করতে পারেন সোনায়। বহু যুগ ধরে বিনিয়োগের জনপ্রিয় বিকল্প হয়ে থেকেছে গোল্ড। ৫০ বছরে গোল্ডেন হিসাব দেখলে বোঝা যাবে মহিলাদের উপযোগী বিনিয়োগের মাধ্যম এই মূল্যবান ধাতুটি। মুদ্রাস্ফীতির সময় কিংবা মার্কেটে পতন হলেও গোল্ডের রিটার্ন একই রকম থেকে যায়।
এছাড়াও রয়েছে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম। ভারত সরকার এই প্রকল্পটি চালু করেছে। এই প্রকল্পটি পেনশন ফান্ড রেগুলেটারি এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি দ্বারা পরিচালিত। এটি হল মহিলাদের জন্য বিনিয়োগের একটা দারুন বিকল্প। অবসর গ্রহণের পরে মহিলা বিনিয়োগকারীরা হাতে যদি ভালো পরিমাণ অর্থ পেতে চান তাহলে ন্যাশনাল পেনশন প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন। এই প্রকল্পের সব থেকে ভালো সুবিধাটা হলো এখানে কোনরকম ঝুঁকি নেই।