Business Idea: মাত্র ৬০ টাকা বিনিয়োগে ৮০০ টাকা উপার্জন, আজকে শুরু করুন এই লাভজনক বিজনেস
শশী কুমার জানিয়েছেন, প্রথমে তিনি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে মাশরুম উৎপাদনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, তারপর চাষ শুরু করেন।
যদি এই মুহূর্তে আপনি বেকার হন এবং প্রতিষ্ঠিত হতে চান, সেক্ষেত্রে আজকের এই নিবন্ধটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য। আজকের নিবন্ধে আমরা আপনাদের জন্য এমন একটি লাভজনক ব্যবসা নিয়ে এসেছে, যেখানে স্বল্প পুঁজিতে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন আপনি। এর জন্য বিশাল পরিমাপের জমির ও প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র ছায়াযুক্ত একটি ছাউনি দেওয়া ঘর থাকতে হবে আপনার। তবে খুব স্বল্প খরচে লাভজনক এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন আপনি।
আজ্ঞে হ্যাঁ, আজকের নিবন্ধে আমরা আপনাদের জন্য মাশরুম চাষের সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে চলেছি। পূর্ণিয়ার বনমানখির একজন সফল মাশরুম চাষী শশী কুমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সম্পূর্ণ তথ্য শেয়ার করেছেন। সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই চাষী জানান, মাশরুম চাষের জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হয় না চাষীদের। প্যাকেট প্রতি মাত্র ৬০ টাকা খরচ করতে হয়। যেখান থেকে একজন কৃষক ৮০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন।
শশী কুমার জানিয়েছেন, প্রথমে তিনি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে মাশরুম উৎপাদনের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, তারপর চাষ শুরু করেন। তাছাড়া মাত্র ২০টি ব্যাগে মাশরুম চাষ দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করেন তিনি। বর্তমানে প্রায় ৩০০০ ব্যাগে বিশাল আকারে মাশরুম চাষ করছেন এই সফল উদ্যোক্তা। যেখান থেকে প্রতি বারে ২০০ কেজির বেশি মাশরুম উৎপন্ন হয় বলে জানিয়েছেন ওই কৃষক। বর্তমানে বাজার দর হিসেবে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয় সেই মাশরুম।
সফল চাষী শশী কুমার মাশরুম চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, প্রথমে ধান এবং গমের ভুসি ২৪ ঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখেন তিনি। এরপর পলিথিন ব্যাগে ভোরে ছায়াযুক্ত স্থানে রাখেন। নির্দিষ্ট সময় পর সেই ব্যাগে রোপন করা হয় মাশরুমের বীজ। এরপর অন্ধকার এবং ছায়াযুক্ত ঘরে সেই প্যাকেট ঝুলিয়ে রেখে দেওয়া হয় কয়েক দিনের জন্য। সেখান থেকে ধীরে ধীরে উৎপাদন শুরু হতে থাকে মাশরুমের।