8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে কর্মীদের এই জবাব দিল সরকার
এই আপডেট আসার পরে এখন অনেকেই হতাশ
আগামী লোকসভা নির্বাচন ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এবং ফলাফল ঘোষণা করা হবে জুন মাসের মধ্যে। এই নির্বাচনের পূর্বে কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা 8ম বেতন কমিশন গঠনের আশায় আছেন। কারণ, সরকার প্রতি ১০ বছর পর পর নতুন বেতন কমিশন গঠন করে থাকে।
৮ম বেতন কমিশন: প্রয়োজনীয়তা, সরকারের অবস্থান এবং বিকল্প:
প্রয়োজনীয়তা: ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে ৭টি বেতন কমিশন গঠিত হয়েছে। সর্বশেষ ৭ম বেতন কমিশন ২০১৪ সালে গঠিত হয়েছিল এবং ২০১৬ সালে এর সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়।
সরকারের অবস্থান: অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী স্পষ্ট করে বলেছেন যে ৮ম বেতন কমিশন গঠনের কোন প্রস্তাব এখনও সরকারের বিবেচনাধীন নেই।
বিকল্প: সরকার মনে করে ৭ম বেতন কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা করার জন্য নতুন কমিশনের প্রয়োজন নেই। বরং বেতন ম্যাট্রিক্স পর্যালোচনা ও সংশোধন করার জন্য একটি নতুন ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত।
৮ম বেতন কমিশন না হলে কী কী প্রভাব পড়তে পারে:
কর্মচারী: ৮ম বেতন কমিশন না হলে ৪৮.৬২ লক্ষ কেন্দ্রীয় কর্মচারী নতুন বেতন স্কেল থেকে বঞ্চিত হবে।
পেনশনভোগী: ৬৭.৮৫ লক্ষ পেনশনভোগীও নতুন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।
ডিএ বৃদ্ধির সম্ভাবনা:
বেতন কমিশনের পরিবর্তে সরকার শীঘ্রই কেন্দ্রীয় কর্মীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বৃদ্ধির ঘোষণা করতে পারে। মনে করা হচ্ছে যদি, অষ্টম বেতন কমিশন চালু হয় তাহলে মহার্ঘ ভাতা একইসাথে অনেকটা বৃদ্ধি পাবে। ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা যেকোনো সময় আসতে পারে, তবে নির্বাচনের আগে ঘোষণার সম্ভাবনা বেশি। ৭ম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বেতন কমপক্ষে ২.৫৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ডিএ বৃদ্ধির ফলে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের মূল বেতনের উপর অতিরিক্ত ভাতা দেওয়া হয়।