ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড থাকলে হবে ১ বছরের জেল, জেনে নিন ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের সম্পূর্ণ নির্দেশিকা
নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে সম্প্রতি একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে এই ভোটার কার্ড সম্পর্কে।
ভোটার আইডি কার্ড একজন সাধারণ ভারতীয় জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা কার্ড। এটা ভারতের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় পত্র বললেও ভুল হবে না। আধার কার্ড ব্যক্তিগত পরিচয় পত্র হলেও ভোটার কার্ড হল ভারতের নাগরিকত্বের প্রমাণ। এই ভোটার কার্ডের মাধ্যমে যে কোন মানুষ নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সরকার নির্বাচন করতে পারেন। এটা এমন একটি সরকারি নথি যা একজন নাগরিককে দেওয়া হয় যাতে তিনি ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু দুই বা তার বেশি ভোটার আইডি কার্ড থাকলে আপনাকে কিন্তু জেলে যেতে হতে পারে। সেই কারণে আপনাকে ভীষণ সতর্ক থাকতে হবে এই ভোটের কার্ড নিয়ে। একাধিক ভোটার তালিকায় আপনার নাম থাকলে সেটা কিন্তু অবৈধ বলে বিবেচিত হয়। তাই আপনাকে অবশ্যই আপনার ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড ক্যান্সেল করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে এই ভোটার কার্ড বাতিল করতে হয়।
কীভাবে এটি বাতিল করা যায়-
যদি আপনার ক্ষেত্রেও এমন হয় যে আপনার নাম দুটি ভোটার তালিকায় উপস্থিত রয়েছে, তাহলে আপনাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার আসল নামটি রেখে ডুপ্লিকেট নাম বাতিল করতে হবে। এর জন্য আপনাকে সাত নম্বর ফরম পূরণ করতে হবে। আপনি এটি অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ভাবে পূরণ করতে পারেন। এতে আপনাকে খুব সাবধানে সমস্ত তথ্য পূরণ করতে হবে। একবার আপনি ফরম পূরণ করে ফেলে আপনাকে কিছু সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তারপরে আপনার সমস্ত কাজ হয়ে যাবে।
অনলাইনে স্ট্যাটাস ট্র্যাক করুন-
শুধু ফরম পূরণ করে বসে থাকলেই হবে না, আপনাকে কিন্তু অবশ্যই আপনার কার্ডের অনলাইন স্ট্যাটাস চেক করতে হবে একাধিক সময়ে। আপনি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য পেতে পারেন। এছাড়াও এখানে গিয়ে আপনি নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। এজন্য আলাদা করে আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে না। আপনাকে আবেদন করার পরে আপনার কার্ডের অবস্থান ট্রাক করতে হবে। তবে এই মুহূর্তে ভোটার আইডি কার্ড পেতে অনেক সমস্যায় পড়তে হতে পারে আপনাকে, কারণ আর কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচন শুরু হচ্ছে। তাই যদি এখনও আপনি ভোটার কার্ড না করে থাকেন, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ভোটার তালিকায় আপনার নাম নথিভুক্ত করুন।