ভ্রমণের টিকিটে বিমার নিয়মে বদল এনেছে ভারতীয় রেল। এখন রেল যাত্রার সময় সন্তানের অর্ধেক টিকিট নিলে এখন আর ঐচ্ছিক বিমার সুবিধা পাওয়া যাবে না। আইআরসিটিসি-র তরফে জানানো হয়েছে, এখন থেকে সম্পূর্ণ টিকিট বুক করার পরেই বিমার সুবিধা পাবেন যাত্রীরা।
বিকল্প বিমার ক্ষেত্রে প্রিমিয়ামও বাড়িয়েছে আইআরসিটিসি। ১ এপ্রিল থেকে যাত্রী প্রতি প্রিমিয়াম কমিয়ে ৪৫ পয়সা করা হয়েছে। আগে ছিল ৩৫ পয়সা। আইআরসিটিসি জানিয়েছে, ঐচ্ছিক বিমা প্রকল্পের সুবিধা শুধুমাত্র ই-টিকিট কাটা যাত্রীরাই পাবেন। রেলের টিকিট কাউন্টার থেকে কেনা টিকিটে বিমা স্কিম প্রযোজ্য হবে না। ট্রেনের সব শ্রেণির ফার্স্ট এসি, সেকেন্ড এসি, থার্ড এসি, স্লিপার, চেয়ার কার ইত্যাদির কনফার্ম ও আরএসি টিকিটে এই সুবিধা পাওয়া যাবে অনলাইন অথবা ই-টিকেটে। ওয়েটিং লিস্টে থাকা যাত্রীরাও এই বীমা প্রকল্পের জন্য যোগ্য হবেন না।
অনলাইনে টিকিট বুকিংয়ের সময় তাদের বেছে নিতে হবে যে তারা বীমা সুবিধার সুবিধা নিতে চাইছেন কি না। যদি যাত্রী বিমা অপশনের সুবিধা নিতে চান, তবে তাকে সেই বিকল্পে ক্লিক করতে হবে। এরপর রেল যাত্রীর মোবাইল ও ই-মেইলে বীমা কোম্পানির পক্ষ থেকে একটি মেসেজ যাবে। যাত্রার সময় ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হলেও যাত্রীরা এই অপশনের সুবিধা পাবেন। এই বিমা প্রকল্পে রেলযাত্রীর মৃত্যুর জন্য পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা, আংশিক প্রতিবন্ধকতার জন্য ৭.৫ লক্ষ টাকা এবং আঘাত লাগলে চিকিৎসার জন্য ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় রেল দ্বারা যাত্রী বিকল্প বীমা প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। সেই সময় যাত্রী পিছু বিমার প্রিমিয়াম ছিল ৯২ পয়সা, যা খোদ সরকার দিত। এরপর আগস্ট মাসে তা কমে দাঁড়ায় ৪২ পয়সা এবং তার বোঝা চাপানো হয় যাত্রীদের ওপর। পরে তা কমিয়ে ৩৫ পয়সা করা হয়।