অরূপ মাহাত: পশ্চিমবঙ্গের তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফল টানটান উত্তেজনা ছিল সবার মধ্যেই। সকাল থেকে করিমপুর ছাড়া অন্য দুই কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে তৃণমূল ও বিজেপি। করিমপুরে প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কালিয়াগঞ্জে প্রথম থেকে এগিয়েছিল বিজেপি। খড়গপুরে সাপ লুডোর খেলায় কখনও এগিয়েছে কংগ্রেস, কখনও তৃণমূল আবার কখনও বিজেপি। তবে গননা শেষে চওড়া হাসি তৃণমূলের নেতাদের মুখে। তিনে তিন করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে তারা।
এই জয় যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তাদের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়াতেই তা স্পষ্ট। উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী ঘোষণা হতেই মুখ খোলেন তিনি। জানান, ‘তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে এই প্রথম খড়গপুর সদর ও কালিয়াগঞ্জে জয় পেল তৃণমূল। আমাদের আরও নম্র হয়ে মানুষের পাশে থাকতে হবে।’ বিজেপির ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধেও মুখ খোলেন তিনি, ‘বিজেপি হিন্দুত্ব নিয়ে রাজনীতি করছে। আমরাও তো হিন্দু তা নিয়ে তো লড়াই করি না।’
এনআরসি নিয়েও একহাত নেন বিজেপিকে, ‘স্বাধীনতার ৭০ বছর হয়ে সবাই একসাথে রয়েছি। আর ওরা হঠাৎ করেই এসে বলছে এখান থেকে নাকি তাড়িয়ে দেওয়া হবে।’ উপনির্বাচনের এই রায় বিজেপির এনআরসি নীতির বিরুদ্ধে কড়া জবাব বলেই মনে করেন তিনি। এদিনের এই জয় সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন মুখ্যমন্ত্রী।