Post Office Scheme: মাত্র ১০০০ টাকা বিনিয়োগেই মাসে ২০০০০ টাকা লাভ, দুর্দান্ত লাভজনক স্কিম পোস্ট অফিসের
বয়স বাড়ার আগে সময় থাকতে থাকতে অর্থ সঞ্চয়ের প্রবণতা দেখা যায় কমবেশি সকলের মধ্যেই। বয়সকালে যাতে নিজের বা পরিবারের কারোর যাতে কোনো আর্থিক সমস্যা না হয় সে কারণেই আগে থেকেই বিনিয়োগের দিকে নজর দেন অনেকেই। আর টাকাটা বিনিয়োগ করতে তারা মূলত এমন মাধ্যম খোঁজেন যেখানে টাকা থাকবে সুরক্ষিত এবং রিটার্নও পাওয়া যায় মোটা অঙ্কে। এক্ষেত্রে তাই অনেকেই ভরসা করে থাকেন পোস্ট অফিসের (Post Office Scheme) বিভিন্ন স্কিমে। এই স্কিম গুলিতে টাকা যেমন সুরক্ষিত থাকে। তেমনি নিশ্চিত রিটার্নও পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনে খোঁজ রইল পোস্ট অফিসের এমনি লাভজনক স্কিমের।
মূলত প্রবীণ নাগরিকদের মধ্যে পোস্ট অফিসের স্কিম গুলির জনপ্রিয়তা বেশ বেশি। এই প্রতিবেদনে যে স্কিম টির ব্যাপারে আলোচনা করা হবে সেটি হল সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম। ৮ শতাংশেরও বেশি হারে সুদ পাওয়া যায় এই স্কিমে। ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিটে যে হারে সুদ দেওয়া হয় তার থেকেও এই স্কিমে সুদের হার বেশি। তাই পোস্ট অফিসের এই স্কিমটি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক বেশি লাভজনক।
বর্তমানে এই স্কিমে সুদের হার ৮.২ শতাংশ। ১ লা জানুয়ারি ২০২৪ থেকে বাড়ানো হয়েছে সুদের হার। নূন্যতম ১০০০ টাকা থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায় এই স্কিমে। মূলত ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরাই এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন। স্ত্রীর সঙ্গে যৌথ অ্যাকাউন্টও খোলা যেতে পারে। তবে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বয়সের কিছুটা ছাড় পাওয়া যেতে পারে।
এই স্কিমে বিনিয়োগের মাধ্যমে মাসে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যাবে। উল্লেখ্য, এই স্কিমে বিনিয়োগের মেয়াদ ৫ বছর। তবে মেয়াদ পূর্তির আগে যদি স্কিমটি প্রত্যাহার করা হয় তাহলে জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি আয়কর ধারা ৮০সি এর অধীনে দেড় লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে পাওয়া যায় কর ছাড়। বার্ষিক ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যেতে পারে এই স্কিমে। আর মেয়াদ পূর্তির আগেই যদি বিনিয়োগকারীর মৃত্যু হয় তাহলে নমিনির হাতেই তুলে দেওয়া হবে সম্পূর্ণ টাকা।