ঘূর্ণিঝড় রিমাল বিদায় নিতেই রাজ্যে চড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ (Weather Update)। বৃষ্টি বন্ধ হতেই ভ্যাপসা গরমে সেদ্ধ হওয়ার জোগাড় বঙ্গবাসীর। তবে আর বেশিদিন সহ্য করতে হবে না এই পরিস্থিতি। জুন মাসের শুরু থেকেই বড় পরিবর্তন ঘটতে চলেছে আবহাওয়ায়। মিলবে অস্বস্তিকর গরম থেকে মুক্তি। বৃহস্পতিবারও একাধিক জেলায় থাকছে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা।
রবিবার এবং সোমবার তাণ্ডব দেখিয়ে রিমাল বিদায় নিয়েছে বটে, তবে বাতাসে ছেড়ে যাওয়া জলীয় বাষ্পের জেরে বাড়ছে আর্দ্রতাজনক অস্বস্তি। তবে আবহাওয়া দফতরের তরফে এও জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ত্বরান্বিত হয়েছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বামু। রিমালের টানে অনেকটাই এগিয়ে এসেছে বর্ষা। মালদ্বীপ এবং দক্ষিণ আরব সাগরের অধিকাংশ অংশে পৌঁছাতে চলেছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। ১ জুন কেরলে প্রবেশ করতে চলেছে বর্ষা।
বাংলায় সাধারণত বর্ষা প্রবেশ করে ১০ জুন। তবে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, এখনও এ বিষয়ে কোনো পূর্বাভাস পাওয়া যায়নি। নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির উপরে। আপাতত দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও জুনের প্রথমে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশ রয়েছে আংশিক মেঘলা। কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রির কাছাকাছি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৭৯ শতাংশ। এদিন উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় রয়েছে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে শুক্রবার পর্যন্ত চলতে পারে ভারী বৃষ্টিপাত। দার্জিলিং, কালিম্পং এও হতে পারে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। তবে অন্য জেলাগুলিতে বাড়বে অস্বস্তি।