জীবনে একবারও ট্রেনে চড়েননি এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল। ভারতীয় রেল পরিষেবাকে বিশ্বের মধ্যে সর্ববৃহৎ বলে মানা হয়। দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তকে জুড়েছে রেলপথ। রেলের মাধ্যমে দেশের যে কোনো অংশেই পৌঁছানো সম্ভব। উপরন্তু দেশের প্রতিটি নাগরিকের কথা ভেবে, রেল পরিষেবাকে সকলের কাছে সহজলভ্য করে তুলতে টিকিটের দামও রাখা হয় সাধ্যের মধ্যেই।
ট্রেন নম্বরের গুরুত্ব
ট্রেনে যারা যাতায়াত করেন তারা ট্রেন নম্বরের (Train Number) গুরুত্ব অবশ্যই জানেন। ট্রেন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি ট্রেনের টিকিট বুকিং এর জন্যও ট্রেন নম্বর গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই ৫ সংখ্যার ট্রেন নম্বরটি আরও অর্থ বহন করে। ট্রেনের প্রতিটি বগিতেই লেখা থাকে এই বিশেষ নম্বর, যেগুলি আসলে একটি বিশেষ কোড।
ট্রেন নম্বরের প্রথম সংখ্যা
রেলওয়ে আধিকারিকদের বক্তব্য অনুযায়ী, ট্রেন নম্বর হল একটি বিশেষ কোড। উদাহরণস্বরূপ, ট্রেন নম্বরের প্রথম সংখ্যাটি যদি ০ হয় তাহলে এটি হবে একটি বিশেষ ট্রেন, যেমন গ্রীষ্মকালীন বিশেষ ট্রেন। প্রথম সংখ্যা যদি ১ বা ২ হয় তার অর্থ হল ট্রেনটি একটি এক্সপ্রেস ট্রেন বা সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস। একইভাবে, ৩ নম্বরটি হল কলকাতা রেলওয়ের কোড।
অন্যান্য কোড
প্যাসেঞ্জার ট্রেনের কোড হল ৫ নম্বর। ৬ নম্বর হল মেমু ট্রেনের প্রথম নম্বর। ৮ নম্বর হল সুবিধা এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রথম নম্বর।
ট্রেন নম্বরের দ্বিতীয় সংখ্যা
ট্রেন নম্বরের দ্বিতীয় সংখ্যাটি যদি ১ হয় তার অর্থ সেটি সেন্ট্রাল রেলওয়ে বা ওয়েস্টার্ন সেন্ট্রাল রেলওয়ের ট্রেন। রাজধানী, শতাব্দী, জনশতাব্দী, গরিব রথ এর মতো ট্রেনগুলির ক্ষেত্রে এই সংখ্যা হবে ২। ইস্টার্ন রেলওয়ে এবং ইস্টার্ন সেন্ট্রাল রেলওয়ের ট্রেনগুলির জন্য ৩ সংখ্যা। নর্দার্ন এবং নর্দার্ন সেন্ট্রাল রেলওয়ের ট্রেনের জন্য সংখ্যাটি ৪।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংখ্যার সংমিশ্রণ
ট্রেনটি কোন বিভাগ থেকে চলাচল করে তা জানা যায় ট্রেন নম্বরের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সংখ্যার সংমিশ্রণ থেকে। যেমন ঝাঁসি রেলওয়ে বিভাগ থেকে চলাচল করা ট্রেনগুলিতে ব্যবহার করা হয় ২১ বা ২২ কোড। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ঝাঁসি রেলওয়ে বিভাগ থেকে চলাচল করা হাওড়া চম্বল এক্সপ্রেস এর ট্রেন নম্বর ১২১৭৬।