ভারতে ট্রেন পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। দূরে কোথাও যাওয়ার জন্য মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে খরচে কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যায় এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে। ভারতীয় রেল বর্তমানে দেশবাসীর কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আনছে। আর তার উদাহরণ হল গোটা ভারতে বন্দে ভারত ট্রেনের রুট চালু করা। সাধ্যের মধ্যে খরচ করে ভারতীয় রেলওয়ে ব্যবহার করতে পছন্দ করেন সকলেই। দূরে কোথাও যেতে হলে এক্সপ্রেস ট্রেনে আগে থাকতেই ট্রেনের টিকিট বুক করতে হয়। আবার বর্তমানে ওয়েটিং টিকিটে ভ্রমণ নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে কনফার্ম টিকিট পাওয়া অনেকের কাছেই একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে তৎকাল টিকিটের জন্য মানুষকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়। এই সমস্যা সমাধানে জামুই রেলওয়ে স্টেশনে একটি নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ততকাল টিকিট পাওয়ার নতুন নিয়ম
জামুই স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন থেকে তৎকাল টিকিটের জন্য যাত্রীদের সকাল ৭টা থেকে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের প্যানেল অফিসে রেজিস্টার করতে হবে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে দালালদের হস্তক্ষেপ কমাতে এবং যাত্রীদের সুবিধা বাড়াতে চাওয়া হচ্ছে। স্টেশন মাস্টার একটি নোটিশ জারি করে এই নতুন নিয়মের কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, শুধুমাত্র স্টেশন ম্যানেজারের স্ট্যাম্পযুক্ত কাগজপত্রই তৎকাল টিকিটের জন্য বৈধ হবে। এই নতুন ব্যবস্থার ফলে যাত্রীদের আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। সকাল ৭টার মধ্যে নিবন্ধন করে তারা নিশ্চিতভাবে তাদের নাম্বার পেয়ে যাবেন।
টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করবে এই পদ্ধতি
সবচেয়ে বড় কথা, জামুই স্টেশনের এই নিয়ম টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করে দেবে। এই পদ্ধতি দালালদের কার্যকলাপ কমিয়ে আনবে। আগে দালালরা অতিরিক্ত টাকা নিয়ে যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করত। কিন্তু নতুন ব্যবস্থায় দালালদের এই কারসাজি করা কঠিন হয়ে পড়বে। জামুই স্টেশনে নওয়াদা এবং মুঙ্গের জেলা থেকে প্রচুর সংখ্যক যাত্রী আসেন। এই স্টেশনে সর্বদা ভিড় থাকায় টিকিট কাউন্টারে দালালদের আধিপত্য ছিল। নতুন ব্যবস্থার ফলে এই সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।