দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের প্রথম সেমি-হাইস্পিড ট্রেন বন্দে ইন্ডিয়ার স্লিপার সংস্করণ আগামী এক বা দুই মাসের মধ্যে দেশের কয়েকটি প্রধান রুটে শুরু হতে পারে। বেঙ্গালুরু ভিত্তিক উত্পাদনকারী সংস্থা বিইএমএলে এটি দ্রুত তৈরি করা হচ্ছে। এখানে বন্দে স্লিপার ট্রেনের ইন্ডিয়া র ্যাক তৈরি হচ্ছে। সেপ্টেম্বরে বন্দে ইন্ডিয়ার স্লিপার ভার্সন সহ নয়টি রেক আসতে পারে। এর পরে প্রতি মাসে অন্তত দুই থেকে তিনটি রেক তৈরি হবে।
১৬টি কোচ নিয়ে স্লিপার বন্দে ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস
এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র বন্দে ইন্ডিয়ার চেয়ার কার কোচ ভার্সন চলছে। আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব রুটে এটি চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পাটনা-দিল্লি রুটে ১৬টি কোচ নিয়ে স্লিপার বন্দে ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস চালানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে। বলা হচ্ছে, স্লিপার বন্দে ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের সর্বোচ্চ গতি হবে ১৩০ কিলোমিটার। রেলওয়ে বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, স্লিপার কোচ সহ বন্দে ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের গতি চেয়ার কার বন্দে ইন্ডিয়ার তুলনায় ট্র্যাকে কিছুটা কম হবে।
সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার
আসলে ১৬ কোচ নিয়ে চলবে স্লিপার বন্দে ইন্ডিয়া। থাকবে ১১টি থ্রি এসি, ৮ টি সেকেন্ড এসি ও একটি ফার্স্ট এসি কোচ। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, চেয়ারকার বন্দে ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ক্ষমতা প্রতি ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার হলেও এই ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার গতিতে চলছে।
আগস্টে ট্রায়াল
পাটনা থেকে চলা সমস্ত বন্দে ইন্ডিয়া ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিও ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। তবে গ্র্যান্ড কর্ড লাইন শিগগিরই ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রেন চালানোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এত কিছুর পরেও স্লিপার বন্দে ইন্ডিয়া ট্রেনের গতি চেয়ার কার বন্দে ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের থেকে কম হবে। বন্দে ইন্ডিয়া স্লিপার ট্রেনগুলি শীঘ্রই রেলওয়ে সুরক্ষা কমিশন দ্বারা পরীক্ষা করা হবে। আগস্টে এর ট্রায়াল শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সম্প্রতি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগস্টের মাঝামাঝি স্লিপার বন্দে ইন্ডিয়া চালানোর রাস্তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এটি লক্ষণীয় যে মার্চ মাসেই স্লিপার বন্দে ইন্ডিয়া ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা ছিল। পাটনা-নয়াদিল্লি স্লিপার বন্দে ইন্ডিয়া চলাচলের সময় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ইস্ট সেন্ট্রাল রেলওয়ের সিপিও সরস্বতী চন্দ্র বলেন, এখনও পর্যন্ত এই ট্রেন চালানোর বিষয়ে রেলওয়ে বোর্ডের সাথে জোনের কোনও চিঠিপত্র আসেনি।