শীঘ্রই বেতন সীমা সংশোধন করবে EPFO, বেসরকারি খাতের কর্মীরা পেয়ে যাবেন ১০,০৫০ টাকা পর্যন্ত মাসিক বেতন
প্রভিডেন্ট ফান্ড সংস্থার তরফ থেকে সম্প্রতি একটি নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এই বিষয়ে
ইউনিফাইড পেনশন স্কিম এর মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে প্রয়োজনীয় পেনশনের সংস্কারের পরে এবারে বেসরকারি খাতের কর্মীদের জন্য নতুন সুখবর আনতে চলেছে কর্মচারী ভবিষ্যৎ তহবিল সংস্থা EPFO। এর অধীনে ভবিষ্যৎ তহবিল এবং পেনশন অবদানের গণনার জন্য বেতন সীমা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব জানানো হয়েছে। শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবের ভিত্তিতে খুব শীঘ্রই অর্থ মন্ত্রণালয় এই নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এই সিদ্ধান্তর বিষয়ে শ্রম মন্ত্রক জানিয়েছে, বেতন সীমা বর্তমানে ১৫,০০০ থেকে বাড়িয়ে ২১ হাজার টাকা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
সরাসরি প্রভাব পড়বে পেনশন এবং ইপিএফের উপর
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই প্রস্তাবনা এপ্রিল মাসে পাঠানো হয়েছিল এবং অর্থমন্ত্রক শীঘ্রই এই বিষয়ে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চলেছে। ইপিএফও দ্বারা পরিচালিত কর্মীদের পেনশন গণনার বেতনসীমা এই মুহূর্তে ১৫ হাজার টাকা। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ থেকে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। তবে এবারে, এই বেতন সীমা ৬০০০ টাকা বৃদ্ধি করে ২১ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে শ্রম মন্ত্রকের তরফ থেকে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে বেসরকারী খাতের কর্মীদের পেনশন এবং ইপিএফ এর অবদানের উপরে একটা উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে এর ফলে।
কিভাবে EPS পেনশন গণনা করা হয়?
ইপিএস পেনশন গণনা করার জন্য একটা বিশেষ সূত্র ব্যবহার করা হয়। এই সূত্রটি হল – গড়বেতন × পেনশনযোগ্য পরিষেবা / ৭০। আপনাদের জানিয়ে রাখি, এখানে গড়বেতন বলতে বোঝানো হয়েছে বেসিক বেতন এবং মহার্ঘ ভাতার সম্মিলিত যোগফল কে। অন্যদিকে পেনশনযোগ্য পরিষেবা হলো সর্বাধিক ৩৫ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ, বর্তমান পেনশনযোগ্য বেতনের সর্বাধিক সীমা যদি ১৫,০০০ টাকা ধরা হয় তাহলে সেই হিসেবে পরিসংখ্যার গণনা করা হলে EPS বেতন হবে প্রতি মাসে ৭,৫০০ টাকা। আর যদি বেতনসীমা ২১ হাজার টাকা করা হয়, তাহলে প্রতি মাসে পেনশনের পরিমাণ হবে ১০,০৫০ টাকা। অর্থাৎ, নতুন নিয়ম কার্যকর হলে প্রতি মাসে ২,৫৫০ টাকা বেশি পেনশন পাওয়া যাবে।