মোদি সরকারের এই স্কিম আশ্চর্যজনক, গ্যারান্টি ছাড়াই পাচ্ছেন 10 লক্ষ টাকা ঋণ
আপনি যদি ভারতে নিজের তাগিদে একটা ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনাদের জন্য রয়েছে মোদি সরকারের তরফ থেকে এই বিশাল বড় সুযোগ
বর্তমানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প গুলি সাধারণ মানুষের মন দারুন ভাবে জয় করতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ী দোকানদার বা ছোট পরিসরে কাজ শুরু করা লোকেদের জন্য প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা লোন যোজনা শুরু করা হয়েছিল ভারত সরকারের তরফ থেকে যাতে তারা তাদের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য কোন রকম আর্থিক অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে না পড়েন। এই প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা ঋণ যোজনা কেন্দ্রীয় সরকার এপ্রিল ২০১৫ সালে শুরু করেছিল। প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনাটি চালু করেছিল কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ মন্ত্রক। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কোন গ্যারান্টি ছাড়াই ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারতেন। যা পরিশোধের জন্য পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় দেওয়া হতো। আমানতের এই প্রকল্প সম্পর্কে জেনে নিন বিস্তারিত।
প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা ঋণ যোজনার বিশেষ বৈশিষ্ট্য
যদি এই প্রকল্পের অধীনে আপনি ঋণ গ্রহণ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার কাছে একটি ব্যবসা থাকতে হবে। যারা নিজেদের তাগিদে নিজেদের কর্মসংস্থান করতে চান তাদের জন্যই কিন্তু মুদ্রা ঋণ প্রকল্প চালু করেছে সরকার। এর অধীনে যারা নিজেদের কর্মসংস্থান করতে চান তাদেরকে অনেক কম হারে ঋণ প্রদান করা হবে। এতে সরকার ঋণ প্রকল্পের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকবে। অনেকেই এই প্রকল্পের সুবিধা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছেন। তবে হ্যাঁ এখন হয়তো মুদ্রা প্রকল্পের ঋণ গ্রহণ করতে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
মুদ্রা লোন নেওয়ার নিয়ম হতে পারে কঠোর
এখন মুদ্রা ঋণ নেওয়ার নিয়মটা আরো বেশি কঠোর করা শুরু করেছে সরকার। ইতিমধ্যেই সরকার একটা থিঙ্ক ট্যাংক নীতি আয়োগ নির্দেশিকা তৈরি করেছে যা অনুযায়ী এখন ঋণ নেওয়া ব্যক্তিদের ব্যাকগ্রাউন্ড আগে চেক করা হবে। তিনি দিন গ্রহণের যোগ্য কিনা সেটা আগে জেনে নিয়ে, তারপরেই কিন্তু ওই ব্যক্তিকে ঋণ দেবে সরকার। এই ঋণের মাধ্যমে ভারত সরকার ভারতের সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান করতে চাইছে। ২০২৪ সালের বাজেটে মুদ্রা ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ১০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। মুদ্রা ঋণ বেশিরভাগই ছোট ব্যবসায়ীরা গ্রহণ করেন। তাদের খুব সীমিত নথি রয়েছে এবং সেই কারণে তাদের যাচাই করা কঠিন। কিন্তু ইলেকট্রনিক ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে ব্যাংক এই কাজটা করতে পারে। তবে, এই বিষয়টা চালু হলে কিন্তু ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া জটিল হয়ে যাবে।