যাত্রীদের যাতায়াত আরো সহজ এবং সুবিধাজনক করার লক্ষ্যে আরো এগোতে শুরু করেছে ভারতীয় রেল। এই ধারাবাহিকতায় এবারে রানীক্ষেত এক্সপ্রেস, যোগাযোগ ক্রান্তি এক্সপ্রেস, এবং নৈনিতাল দুন এক্সপ্রেসে LHB কোচ বসানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারতীয় রেলওয়ে। এই কোচ বসানো মাত্রই ট্রেনের গতিবেগ কিন্তু ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার থেকে বেড়ে হয়ে যাবে ১৬০ কিলোমিটার। ফলে আরো সহজে, যেকোনো জায়গায় পৌঁছতে পারবেন যাত্রীরা। এই নতুন ধরনের কোচ হলো জার্মান প্রযুক্তিতে তৈরি একটি কোচ। এটি বেশিরভাগ উচ্চগতির ট্রেনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যাতে সেই ট্রেন লাইনের উপরে অনেক বেশি জোরে চলতে পারে। এছাড়াও জায়গা বেশি থাকায় যাত্রীরা সিটে আরামে বসে এবং শুয়ে থাকতে পারবেন। সঙ্গেই যেহেতু গতি বেশি তাই দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেকটাই কম হয়ে যায় এই ধরনের এলএইচবি কোচে। এই ধরনের কোচ সহজে লাইনচ্যুত হয় না। সব দিক থেকেই অনেকটা সুরক্ষিত এই ধরনের এক্সপ্রেস কোচ।
কাঠগোদাম থেকে দিল্লি এবং অন্যান্য শহরগামী রানীক্ষেত এক্সপ্রেস, যোগাযোগ ক্রান্তি এক্সপ্রেস এবং নৈনিতাল দুন এক্সপ্রেস সাধারণত এখনো আইসিএফ কোচ দিয়ে চলছে। কিন্তু এই সমস্ত ট্রেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন ভারতীয় যাত্রীদের কাছে। সেই কারণেই এই ধরনের ট্রেনে এবারে LHB কোচ বসানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারতীয় রেলওয়ে। উত্তর-পূর্ব রেলের ইজ্জত নগর বিভাগ তিনটি ট্রেনেই LHB কোচ বসানোর সাথে সাথে এগুলিকে একেবারে নতুন রঙে পেইন্ট করতে চলেছে। এই ধরনের কোচের রঙ হবে একেবারে লাল। তবে পুরনো কোচ কিন্তু আর দেখা যাবে না।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএলএইচবি কোচের ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে গেলে, এই কোচ ভারতীয় রেলওয়েতে প্রথম চালু হয় ১৯৯৯ সালে। এই ধরনের কোচ ভারতীয় যাত্রীদের জন্য খুবই আরামদায়ক। দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে এই কোচ অনেক কম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং নিরাপদে থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। রাজধানী শতাব্দীর মতো ট্রেনে এখন শুধুমাত্র এল এইচ বি কোচ বসানো হয়ে থাকে। এ সমস্ত বিভাগের স্লিপার এবং এসি কোচের উচ্চ বার্থ ক্ষমতা রয়েছে। এ কারণে সর্বাধিক ২২ টি কোচ ইন্সটল করা যেতে পারে। এই ধরনের কোচের সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার হয়ে থাকে। নিঃসন্দেহে ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি অর্থাৎ ICF এর থেকে, এই ধরনের কোচ অনেক ভালো।