Bank Rules: আপনি কি জানেন কখন ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট Deactive হয়ে যায়, সব টাকা জলে যাবে না তো? জেনে নিন নিয়ম
কতদিন লেনদেন বন্ধ রাখলে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভ করে দেওয়া হয়? বেশিরভাগ মানুষের কাছে এ সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য নেই।
আজকাল ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট হয়ে উঠেছে সবার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় নথি গুলোর মধ্যে একটি। স্কুল হোক কিংবা কর্মক্ষেত্র, সব জায়গায় ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন। ফলে প্রায় অধিকাংশ ভারতীয়দের একাধিক ব্যাংকে রয়েছে অ্যাকাউন্ট। তবে শুধুমাত্র ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকলেই চলবে না, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম অনুসারে নিজের ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট সক্রিয় রাখতে হলে গ্রাহকদের লেনদেন করতে হবে। নতুবা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভ করে দেওয়া হবে।
তবে কতদিন লেনদেন বন্ধ রাখলে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভ করে দেওয়া হয়? বেশিরভাগ মানুষের কাছে এ সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য নেই। আজকের প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের জন্য ব্যাংকের এই মূল্যবান তথ্যটি স্পষ্ট করতে চলেছি। কতদিন লেনদেন না করলে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভ হবে এবং সেই অ্যাকাউন্ট কিভাবে গ্রাহক সক্রিয় করতে পারবেন তা জানতে হলে আজকের প্রতিবেদনটি সবিস্তারে পড়ুন।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি ব্যাংকের দুই বছরের মধ্যে টাকা আদান-প্রদান না করেন, সে ক্ষেত্রে তার অ্যাকাউন্টটি নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। তবে গ্রাহকরা চাইলে যেকোনো মুহূর্তে নিজের KYC জমা দিয়ে পুনরায় নিজের অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করতে পারেন। ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় থাকলেও যদি সেই অ্যাকাউন্টে টাকা থাকে, তবে নির্দিষ্ট সময় পর পর ব্যাংক সেই টাকার উপর সুদ প্রদান করে থাকে।
আমরা আপনাদের বলি, সেভিংস বা কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স যদি টানা ১০ বছর পড়ে থাকে, তখন তাকে ‘আনক্লেইমড ডিপোজিট’ হিসাবে দেখে ব্যাঙ্ক। ‘আনক্লেইমড ডিপোজিট’ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পরিচালিত ‘ডিপোজিটর এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস’ ফান্ডে স্থানান্তর করা হয়। তবে গ্রাহক যে কোনও সময় সেই ডিপোজিট দাবি করতে পারেন এবং সেই টাকার উপর ব্যাংক সুদ প্রদান করতে বাধ্য।