কৌশিক পোল্ল্যে: সলমান খানের ‘দাবাং’ ফ্যাঞ্চাইচির আলাদা ফ্যান ফলোয়িং রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। বিশেষত সলমান খানের টিপিক্যাল বলিউড সিরিজের মধ্যে অন্যতম এই ‘দাবাং’ সিরিজ। তবে আগেভাগে বলে রাখা ভালো, দাবাং এর সিক্যুয়েল ‘দাবাং ৩’ নিয়ে এবার খানিকটা হতাশই হবেন।
ট্রেলারে দেখানো জমজমাট সিনের সঙ্গে সিনেমাকে খাপ খাওয়াতে বেশ অসুবিধা হতে পারে। খানিকটা বিরিয়ানি তে সমস্ত মশলা দিয়েও রান্নাটা ঠিকঠাক না হওয়ার মতোই। বিশেষত পুলিশ অফিসার চুলবুল পান্ডে হিসেবে সলমন খান এবার অনেকটাই নড়বড়ে। ছবির গল্পে সেরকম কোনো নতুনত্ব কিছু পাবেন না। উল্লেখ্য এই ছবিটি সলমন খানের চুলবুল পান্ডে বা পুলিশ অফিসার দাবাং হয়ে ওঠার শুরুর গল্প অর্থাৎ আগের মুভিগুলিতে ঘটা সিক্যুয়েন্সের আগের ঘটনা দেখানো হয়েছে।
ছবিতে কারোরই অভিনয় সেরকম নজরকাড়া নয়। ছোট্ট চরিত্রে নবাগতা সাঈ মাঞ্জরেকর বেশ সাবলীল। ছবির ভিলেন সাউথস্টার সুদীপও মোটের ওপর ঠিকঠাক। সোনাক্ষী আর সলমান উভয়েরই ওভারঅ্যাক্টিং আর জং ধরা একঘেয়ে কেমিস্ট্রি কতখানি নিতে পারবেন সে নিয়েও সন্দেহ আছে।
আরও পড়ুন : লক্ষী বিপাকে ফেলল টিম ‘ছপাক’ কে
ছবির ডায়লগে নতুনত্ব নেই বরং বেশ কিছু জায়গায় অতিরিক্ত বকবক করা হয়েছে এবং যা ভিত্তিহীন। ছবির গানগুলি হুট করে সিনের মধ্যে ঢোকানো হয়েছে মনে হতেই পারে। ছবির চিত্রনাট্য খুবই দুর্বল। এই ছবির একমাত্র ভালো দিক হল এর অ্যাকশন আর ফাইটিং সিন যা নিয়ে একেবারেই নিরাশ হবেন না দর্শকগন। তবে ১৬৩ মিনিটের এই দীর্ঘ ছবি খানিকটা ছোট করাই যেত।
যদি আপনি সলমান খানের হার্টথ্রব ফ্যান না হন তবে এই ছবি দেখে খানিকটা নিরাশ হবেন। সবশেষে বলা ভালো ট্রেলারের উত্তেজনা অনুযায়ী পুরো সিনেমাকে বিচার করলে পস্তাবেন। প্রভু দেবা পরিচালিত এবং আরবাজ খান প্রযোজিত ছবি
‘দাবাং ৩’ এবার উত্তেজনার পারদে ঠান্ডা জল ঢেলে দিয়েছে একথা বলাই যায়।