রেলপথে এবারে হাওড়া থেকে বাঁকুড়া, ও পুরুলিয়ার যাত্রাপথ কমছে। পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষজন পেতে চলেছে হাওড়া যাতায়াত করার একটা নতুন লাইন। বাঁকুড়া মশাগ্রাম রেল লাইনকে এবারে বর্ধমান কর্ড লাইনের সাথে যুক্ত করতে চলেছে পূর্ব রেলওয়ে। এর ফলে যাতায়াতের সময় অনেকটা কমে যাবে হাওড়া এবং বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার মধ্যে। বাঁকুড়া মশাগ্রাম রেল লাইনকে সংযুক্ত করার ফলে একদিকে যেমন হাওড়া থেকে লোকজন ঘুরতে যেতে পারবেন বাঁকুড়াতে, তেমনি বাঁকুড়া থেকেও লোকজন খুব সহজে একই দিনে হাওড়াতে এসে সেখান থেকে বাঁকুড়া ফেরত যেতে পারবেন। ফলে সবদিক থেকে দেখতে গেলে, পূর্ব রেলওয়ে এই শাখার জন্য বিষয়টা খুব ভালো হতে চলেছে।
বাঁকুড়া মশাগ্রাম রেল লাইনে বর্তমানে বর্ধমানের কর্ড লাইনের সাথে সংযুক্ত করার কাজ প্রায় শেষের পথে। খড়্গপুরের বদলে এবারে মশাগ্রাম হয়ে হাওড়া যাতায়াত করা যাবে। ফলে দূরত্ব কমবে ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত। হাওড়া থেকে বাঁকুড়া আর পুরুলিয়ার মধ্যে দূরত্ব কমতে চলেছে এই নতুন রেলপথের কারণে। বাঁকুড়া থেকে খড়গপুর হয়ে হাওড়ার দূরত্ব ২৩১ কিলোমিটার। অন্যদিকে, যদি আপনি মশাগ্রাম হয়ে যান, তাহলে ১৮৫ কিলোমিটার দূরত্ব আপনাকে অতিক্রম করতে হবে। এর ফলে, সবদিক থেকেই আপনার সুবিধা। পাশাপাশি আদ্রা থেকে হাওড়ার দূরত্ব ২৮৫ কিলোমিটার থেকে কমে হয়ে দাঁড়াবে ২৩৯ কিলোমিটার। ফলে পুরুলিয়ার আদ্রা স্টেশন থেকেও খুব সহজে হাওড়া আসা এবং যাওয়া যাবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowপ্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে ন্যারোগেজ থেকে ব্রডগেজ উন্নীত করনের কাজ শুরু করেছিল ভারতীয় রেলওয়ে। ২০০৫ সালে সোনামুখী পর্যন্ত ট্রেন চালানো শুরু করে পূর্ব রেলওয়ে। পরে ধাপে ধাপে মশাগ্রাম পর্যন্ত রেললাইন পাতার কাজ চলে। বর্তমানে মশাগ্রাম থেকে বাঁকুড়া পর্যন্ত ট্রেন চলে। অন্যদিকে মশা গ্রাম থেকে হাওড়া পর্যন্ত ট্রেন চলে। কিন্তু মশা গ্রাম জংশন এখনো পর্যন্ত তৈরি হয়নি। এবারে যদি মশাগ্রামকে জংশন হিসেবে তৈরি করে দুটি রুটকে একসাথে কানেক্ট করে দেওয়া যায়, তাহলে খুব সহজে যাত্রীরা একই ট্রেনে হাওড়া থেকে বাঁকুড়া অথবা পুরুলিয়া যেতে পারবেন। ফলে ইন্টারসিটি এবং মেমু ট্রেনের জন্য একটা নতুন রুট তৈরি হতে পারবে এই লাইনে।