RBI Guidelines: ৫০০ টাকার নোট নিয়ে নতুন গাইডলাইন চালু করলো RBI, দেখুন বিস্তারিত
এই নতুন নিয়মের ব্যাপারে অনেকেই জানেন না এখনো পর্যন্ত
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সম্প্রতি ৫০০ টাকার নোটসহ বিভিন্ন মুদ্রা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকাগুলির মূল উদ্দেশ্য হলো জাল নোট নির্মূল করা এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বিশেষভাবে ৫০০ টাকার নোটের বৈধতা সম্পর্কে ব্যাঙ্ক পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে এই নোটগুলি একেবারে গ্রহণযোগ্য এবং বিনা দ্বিধায় ব্যবহার করা যেতে পারে। ছাপার সময় নষ্ট হয়ে যাওয়া নোটের জায়গায় এই স্টার নোটগুলি ইস্যু করা হয়। তাই এগুলি ব্যবহার করতে জনগণের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার কথা নয়।
জাল নোট শনাক্ত করার জন্য আরবিআই কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করেছে। আসল নোটে সুরক্ষা থ্রেড থাকে যা অতিবেগুনী আলোতে দেখা যায়। মহাত্মা গান্ধীর জলছাপ নোটের এক কোণে স্পষ্টভাবে দেখা যায় এবং নোটের উপর থাকা কিছু অংশ স্পর্শ করলে বিশেষ অনুভূতি পাওয়া যায়। এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য জাল নোট সহজে শনাক্ত করতে সাহায্য করে। তাই জনগণকে নোট গ্রহণ বা লেনদেনের সময় এই বৈশিষ্ট্যগুলি খুঁটিয়ে দেখা উচিত।
ছেঁড়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়া নোট এখন খুব সহজেই প্রতিস্থাপন করা যায়। জনগণ তাদের ছেঁড়া নোট যে কোনো ব্যাংকের শাখায় জমা দিয়ে নতুন নোট পেতে পারেন। নোটের অবস্থা যাচাই করার পর ব্যাঙ্ক নতুন নোট প্রদান করে এবং এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সম্পন্ন হয়। ফলে এটি সাধারণ মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা।
২০০০ টাকার নোটের বিষয়ে আরবিআই গত বছরের মে মাসে ঘোষণা করেছিল যে এই নোটগুলি প্রচলন থেকে প্রত্যাহার করা হবে। এরপর ৩১ মার্চ পর্যন্ত বেশিরভাগ নোটই ফেরত নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ২৬,০০০-এরও বেশি জাল ২০০০ টাকার নোট শনাক্ত হয়েছে। যারা এখনও এই নোট জমা দিতে পারেননি, তারা ব্যাংকে গিয়ে সহজেই জমা করতে বা বিনিময় করতে পারবেন।
ডিজিটাল পেমেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়লেও নগদ লেনদেনের ব্যবহার এখনও রয়ে গেছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, জনগণ ডিজিটাল এবং নগদ—উভয় ধরনের লেনদেনের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষত ছোট শহর এবং গ্রামীণ এলাকায় নগদ লেনদেনের গুরুত্ব অনেক বেশি।