DA Hike: সরকারি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর, এবার থেকে প্রতি ৩ মাস অন্তর বাড়বে ডিএ!

সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য একটি বড় ঘোষণা আসতে চলেছে। শোনামাত্রই আপনি অবাক হয়ে যাবেন! খবর পাওয়া গেছে, এখন থেকে প্রতি তিন মাস পর সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের মহাঘ্য ভাতা (ডিএ) বৃদ্ধি পেতে পারে। এই খবরটি এসেছে এমন সময়ে, যখন সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে নতুন কোনো তথ্যের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং তার কর্মচারীদের মধ্যে ডিএ নিয়ে বিরোধ চলছে। একইভাবে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরাও বকেয়া ডিএ পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন, কারণ গত ১৮ মাস ধরে তাদের বকেয়া বেতন দেওয়া হয়নি। তবে এবার তাদের জন্য কিছু সুখবর আসতে পারে।

প্রতি তিন মাস পর ডিএ বৃদ্ধির সম্ভাবনা

খবর পাওয়া গেছে, সরকার ডিএ গণনার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে পারে। বর্তমানে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা সপ্তম বেতন কমিশনের ভিত্তিতে ৫৩% হারে ডিএ পাচ্ছেন। তবে ২০২৫ সাল থেকে সরকার প্রতি বছর একবারের পরিবর্তে প্রতি তিন মাস পর ডিএ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই পরিবর্তন সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের জন্য উপকারী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের দাবি

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ইতিমধ্যেই ডিএ গণনার পদ্ধতিতে পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন। তারা ক্যাবিনেট সচিবকে একটি চিঠি লিখে পরামর্শ দিয়েছেন যে, ডিএ গণনার জন্য ১২ মাসের গড় ব্যবহার না করে, মাত্র তিন মাসের গড় ডিএ হার ব্যবহার করা উচিত। এই পদ্ধতিতে ডিএ পরিমাণ ঘন ঘন আপডেট হবে, যা কর্মচারীদের ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করবে।

এছাড়াও, কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের জন্য একটি পৃথক ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) চেয়েছেন। সিপিআই ডিএ গণনায় ব্যবহৃত হয়, এবং একটি পৃথক সূচক সরকারি কর্মচারীদের জন্য আরও সঠিক সমন্বয়ের সুযোগ দেবে। এছাড়াও, তারা ডিএ-র “পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট” গণনার দাবি জানিয়েছেন, যা ভাতার নির্ভুলতা বাড়াবে।

আগামী বাজেটে সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা

২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণার সাথে সাথে সরকার ডিএ সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্চ মাসে ডিএ বৃদ্ধি ঘোষণা হতে পারে, যা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে। তারা ইতিমধ্যেই আরও ভালো আর্থিক সহায়তার প্রত্যাশায় রয়েছেন।

এই পরিবর্তনগুলি সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের আর্থিক স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, সরকার এই প্রস্তাবগুলি বাস্তবায়ন করে কিনা।