অনেকেই পুরনো নোট ও কয়েন সংগ্রহ করতে ভালোবাসেন। এটি অনেকের জন্য নিছক শখ হলেও, এখন পুরনো নোটের বাজার বেশ চাঙ্গা। সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনে বিভিন্ন নিলাম সাইটে এই ধরনের পুরনো নোট ও কয়েনের বিপুল চাহিদা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ব্রিটিশ আমলের ১ ও ২ টাকার নোটের দাম নিলামে উঠে যাচ্ছে প্রায় ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত, যা অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে।
পুরনো নোটের বয়স যত বেশি, দামও তত বেশি
বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন নিলাম সাইটের মাধ্যমে সহজেই পুরনো কয়েন বা নোট কেনাবেচা করা যায়। কয়েন বাজারের মতো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ক্রেতারা পুরনো আমলের নোট ও কয়েনের জন্য বড় অঙ্কের দাম দিচ্ছেন। সাধারণত, নোট বা কয়েন যত পুরনো হয়, তার মূল্য তত বেশি হয়। যেমন, ব্রিটিশ আমলের ১ বা ২ টাকার নোটের জন্য ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত দর উঠতে পারে।
এক টাকার নোটের ইতিহাস
এক টাকার নোট প্রথম চালু হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। তবে গত শতকের শেষদিকে ভারত সরকার এই নোট ছাপানো বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে, ২০১৫ সালে মোদী সরকার আবার এক টাকার নোট চালু করে। বর্তমানে স্বাধীনতা-পূর্ব আমলের নোট সংগ্রাহকদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, তাই এগুলোর দামও লাখের ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে।
৮০ বছরের পুরনো এক টাকার নোটের চড়া দাম
সম্প্রতি একটি ১৯৩৫ সালের এক টাকার নোটের ছবি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যার নিলামে দাম উঠেছে ৭ লাখ টাকা। নোটটির উপর তৎকালীন গভর্নর জেডব্লিউ কেলির স্বাক্ষর রয়েছে। ২০২৫ সালের হিসেবে এটি প্রায় ৮০ বছর পুরনো।
কোথায় ও কীভাবে বিক্রি করবেন?
যাদের কাছে পুরনো নোট বা কয়েন রয়েছে, তারা কয়েন বাজার বা কুইকরের মতো অনলাইন নিলাম সাইটে তাদের সংগ্রহ নথিভুক্ত করতে পারেন। একবার তালিকাভুক্ত হলে, সংগ্রাহকরা গুরুত্ব বুঝে দর হাঁকেন। তবে মনে রাখতে হবে, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (RBI) সরকারিভাবে এই ধরনের নোট বা কয়েন কেনাবেচার অনুমতি দেয় না। তাই বিক্রির আগে নিয়মনীতি ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।