সাসপেন্ড হওয়া শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ, বিকাশ ভবনের নতুন পদক্ষেপে কী ঘটতে চলেছে

​পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দপ্তর সম্প্রতি এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) থেকে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেলের ভিত্তিতে ছাঁটাই হওয়া শিক্ষকদের জেলা ভিত্তিক তালিকা চেয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী যোগ্য ও…

Avatar

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দপ্তর সম্প্রতি এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) থেকে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেলের ভিত্তিতে ছাঁটাই হওয়া শিক্ষকদের জেলা ভিত্তিক তালিকা চেয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের পৃথকভাবে চিহ্নিত করা হবে।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাজ্যের প্রায় ২৫,৫৭২ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে নবম-দশম শ্রেণির ১২,৯৪৬ জন শিক্ষক, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ৫,৭৫৬ জন শিক্ষক, ২,৪৮৩ জন গ্রুপ সি কর্মী এবং ৪,৫৫০ জন গ্রুপ ডি কর্মী অন্তর্ভুক্ত। এই ছাঁটাইয়ের ফলে রাজ্যের হাজার হাজার স্কুলের পঠনপাঠনে প্রভাব পড়েছে।

বিকাশ ভবন সূত্রে জানা গেছে, এসএসসি যত দ্রুত সম্ভব এই তালিকা পাঠাবে, তত তাড়াতাড়ি জেলা ভিত্তিক ডিআই বা স্কুল পরিদর্শকদের মাধ্যমে সেই ভিত্তিতে কাজ শুরু করবে শিক্ষা দপ্তর।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে ছাঁটাই হওয়া শিক্ষকদের একটি বৈঠকে তিনটি মূল দাবি উত্থাপন করা হয়:

  1. যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের পৃথক তালিকা প্রকাশ।

  2. ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশ। 

  3. এপ্রিল মাসের বেতন প্রদান।

এসএসসি জানিয়েছে, আগামী ২১ এপ্রিলের মধ্যে যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এছাড়া, ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশের বিষয়টি আইনি পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

About Author