বাঁশদ্রোনীতে সোনালি পার্কের বাসিন্দা বাপি সরকারকে কাল বিকেল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শুক্রবার বিকেলে সে স্নান করতে গিয়ে দূর্ঘটনাবশত পড়ে যায় একটি কুয়োতে। পরিবারের লোকেরা ঘটনাটি জানা মাত্র দমকল কর্মীর কাছে খবর দেয় এবং তারা উদ্ধারকার্যে চলে আসে। টানা ১৬ ঘণ্টা চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হয় উদ্ধার করতে। রাত দশটা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ করার পর তারা জানায় শনিবার সকালে তারা আবার উদ্ধারকার্যে নামবে।
শনিবার রাতে কুয়ো মিস্ত্রিদের আনা হলেও তাদের নামতে দেওয়া হয়নি। মৃগী রোগী বাপি সরকারের বাড়ির লোকেরা ক্ষুব্ধ দমকল কর্মীদের ওপর। দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরেই সেখানে পৌঁছান পূর্ত মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং সেখানে গিয়ে তিনি তদারকি করেন। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন, ডুবুরি যা করতে পারেনি তা মাত্র ২ ঘন্টা চেষ্টায় করে দেখালো কুয়োমিস্ত্রিরা।
আরও পড়ুন : ‘আমি মরে গেলেও বিজেপিকে বাংলায় ডিটেনশন ক্যাম্প বানাতে দেব না’, : মমতা
কুয়োটির গভীরতা ছিল প্রায় ৫০ ফুট। সন্ধ্যা সাতটার সময় যুবকের হদিস পাওয়া গেলেও তাকে কিছুতেই উদ্ধার করা যাচ্ছিল না। বারবার দড়ি খুলে যাওয়ায় তার দেহ পড়ে যাচ্ছিল কুয়োতে।