সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসির প্রতিবাদে সমস্ত বিজেপি নেতাদের ঐক্যের মঞ্চ তৈরি হয় হেমন্ত সোরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। বিজেপিকে যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চাইছে তার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে সমস্ত অ-বিজেপি দলগুলি। মাটিতে অনুষ্ঠিত এই মিছিলটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল কারণ ওই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাহুল গাঁধীরা। কিন্তু অনুষ্ঠানে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী উপস্থিত থাকতে না পারলেও চিঠিতে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি একমত, বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত বিজেপি বিরোধী নেতৃত্বের সহমত হওয়া উচিত।
ঝাড়খণ্ডের ১১ তম মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিরোধী প্রায় সব দলের প্রতিনিধিরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ছাড়াও ছওীশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র বাঘেল, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত, তামিলনাড়ু ডি এম এর সভাপতি এম এ স্ট্যালিন, ও তার সাংসদ বোন কানিমোঝি। এছাড়া ছিলেন সিপিএম ও সি পি আই এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং ডি রাজা, আরজেডি তেজস্বী যাদব এলজিডি শরৎ যাদব প্রমূখ।
আরও পড়ুন : নজর কাড়ল বিরোধী দলের শক্তি, শপথ নিলেন হেমন্ত সোরেন
নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি বিরুদ্ধে জাতীয় স্তরে প্রতিবাদের প্রয়োজনে সবাই একজন হবেন এমনটাই জানিয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা। সনিয়া গাঁধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন সংবিধানের ওপর যে আক্রমণ চলছে তা দুঃসাহসী এবং নির্লজ্জ তাকে কোন মতেই মেনে নেওয়া যায় না, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জরুরী। কিন্তু এই প্রতিবাদ হবে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ।