ভারতীয় অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান শনিবার সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন। ভারতীয় ক্রিকেটের অফিসিয়াল ব্রডকাস্টারের শো চলাকালীন ইরফান তার সিদ্ধান্ত জানান। ৩৫ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় সর্বশেষ জম্মু ও কাশ্মীরের হয়ে ফেব্রুয়ারী ২০১৯ এ সৈয়দ মুসতাক আলী ট্রফির ম্যাচ খেলেছেন। ডিসেম্বরের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) নিলামে তাঁর নাম পর্যন্ত রাখা হয়নি তাই তিনি অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইরফান পাঠান ১৫ বছরেরও বেশি ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ভারতের হয়ে ১২০ ওয়ানডে, ২৯ টি টেস্ট এবং ২৪ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।
“আমি সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করছি। আমার সৌরভ গাঙ্গুলি, রাহুল দ্রাবিড় এবং ভিভিএস লক্ষ্মণ প্রমুখের মতো দুর্দান্ত গ্রেটের সাথে ড্রেসিংরুম ভাগ করে নেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য আমি আমার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি আমার ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা সবসময় আমার প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রত্যাশা করেছে। তাদের সমর্থন আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে” স্টার স্পোর্টসের একটি শো চলাকালীন ইরফান বলেন।
আরও পড়ুন : পাঁচ ভারতীয় ক্রিকেটার, যারা ২০২০ কাঁপাতে চলেছে
ইরফান ২০০৩ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক করেছিলেন এবং দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে ১০০ উইকেট শিকার করেছেন। ২০০৬ সালে করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওভারের ঐতিহাসিক হ্যাটট্রিকের পরে তিনি ভারত সমর্থকদের মধ্যে হিরো হয়ে ওঠেন। টেস্টে হ্যাটট্রিক নেওয়ার ক্ষেত্রে হরভজন সিংয়ের পরে তিনি দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার। একদিনের ক্রিকেটে তিনি আরও কার্যকরী ছিলেন কারণ তিনি ১১৮ ইনিংসে ২৯.৭ দুর্দান্ত গড় সহ ১৭৩ উইকেট নিয়েছেন। তাঁর ক্যারিয়ারের ইকোনমিক হার ৫.২ টিও লক্ষণীয়।
ভারতীয় ক্রিকেটে ইরফানের সবচেয়ে বড় অবদান হল জোহানেসবার্গে ২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি-২০ ফাইনাল ম্যাচে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হওয়া। ইরফান তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করেছিলেন এবং চার ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়েছিলেন সেই জন্য ভারত জয়ের শিরোপা অর্জন করে।