সিএএ এবং এনআরসি সহ নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল, প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলগুলিই এই দুটি আইনের বিরোধিতায় বেশ কয়েকবার পথে নেমেছে। এই আইন অসাংবিধানিক প্রমাণে এবং তা বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলিতে লাগু করা হবে না বলে বারবার জানিয়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। চলতি মাসের পাঁচ তারিখ JNU তে এই আইনের বিরোধিতা করায় ছাত্রী এবং শিক্ষকদের উপর হামলা চালায় একদল মুখে কাপর বাঁধা দুস্কৃতি, পরে জানা যায় তারা এবিভিপি-এর সদস্য ছিলো।
গতকাল নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে চলছিল প্রতিবাদ সভা। ওইদিন রাতে একদল দুস্কৃতি হাতে রড, উইকেট ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায় ছাত্রছাত্রীদের উপর। হামলার ফলে আহত হন অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র স্বপ্ননীল মুখোপাধ্যায় এবং ফাল্গুনী পান নামে দুই ছাত্র। এরপর তাদের স্থানান্তরিত করা হয় পিয়ারসন হাসপাতালে। অভিযোগ সেখানেও দুস্কৃতিরা হামলা চালায়। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত অচিন্ত্য বাগদি ও সাবির আলি খান নামক দুই ব্যক্তিকে। বোলপুর পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের দুইজনকেই আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার আবেদন জানানো হবে।
আরও পড়ুন : দিলীপই আস্থা গেরুয়া শিবিরে, ফের রাজ্য সভাপতির পদে দিলীপ ঘোষ
হঠাৎ এমন হামলা কারা করল সেই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে একাংশ পড়ুয়ার দাবি, মুল অভিযুক্ত অচিন্ত্য বাগদি তৃনমুলের নেতা। এছাড়াও তারা জানিয়েছেন দুই অভিযুক্ত উপাচার্যের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তবে অনেকের দাবী, অভিযুক্ত অচিন্ত্য এবং সাবির আগে তৃনমুল করলেও বর্তমানে তারা বিজেপির দলে নাম লিখিয়েছে। বাম ছাত্ররা অভিযোগ করেছে, উপাচার্যের নির্দেশেই এমন হামলা চালানো হয়েছে। এখন দেখার আদালতের তরফ থেকে কি রায় দেওয়া হয়।