আমদানি করা পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার ভাবনা কেন্দ্রের
সরকার তুরস্ক ও মিশরের মতো দেশগুলি থেকে প্রায় ৩৪০০০ টন পেঁয়াজ আমদানিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। রাজ্যগুলিও চাইছে না ওই পেঁয়াজ আমদানি করতে। কারণ আমদানিকৃত পেঁয়াজ ভারতীয় স্বাদের পক্ষে যথেষ্ট তীব্র নয়। এমনই জানিয়েছেন এই সম্পর্কে সচেতন দুই ব্যক্তি।
পেঁয়াজের অন্য কোনও গ্রহণকারী বিকল্প না থাকায় সরকার আমদানি করা পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। যা পরিবহণ সহ আমদানি মূল্যের অর্ধেকেরও কম। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন ওই দুই ব্যক্তি। তবে, সরকারের মূল পরিকল্পনা ছিল আমদানি করা পেঁয়াজ অলাভজনকভাবে কিছুটা লোকসানের ভিত্তিতে কেজি প্রতি গড়ে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করা।
আরও পড়ুন : চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শাক-সব্জি, বাজারে গিয়ে পকেটে টান মধ্যবিত্তদের
পেঁয়াজ একটি পচনশীল পণ্য এবং আমদানি করা পেঁয়াজগুলি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশের বাইরে রাখলে আর্দ্রতার কারণে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার তাই দেশীয় বাজারে ছাড়ের বিনিময়ে এবং বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং মালদ্বীপের মতো প্রতিবেশী দেশে বিক্রি রফতানিসহ বিভিন্ন বিকল্প অনুসন্ধান করছে, জানিয়েছেন এক আধিকারিক।
কিছু রাজ্য পেঁয়াজের স্বাদের কারণে বিশাল ছাড় চায়। এগুলি ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে আকারে বড়, যা ক্রেতারা নিতে চাইছেন না। এবং বিদেশে রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এই পেঁয়াজ কেনার জন্য ছাড় চাইছে বলে সূত্রের খবর।
বেশিরভাগ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে তুরস্ক থেকে। তুর্কি পেঁয়াজ আকারে বড়, নাসিক থেকে পেঁয়াজের আকারের প্রায় চারগুণ বেশি এবং একইসঙ্গে এর তীব্রতাও কম।