রাজ্যে “যারা জনসাধারণের সম্পত্তি নষ্ট করেছে তাদের গুলি” করার হুমকি দেওয়ার কয়েকদিন পরে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবারও হুমকি দেন যে, ‘যারা রাজ্যে জনসাধারণের সম্পত্তি ভাঙচুর করে তাদের গুলি করে হত্যা করা উচিত।’ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির জন্য অভিযুক্ত করে আরও বলেন যে, ‘এর আগে যখন ৫০০ কোটি টাকার জনসাধারণের সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল তখনও তিনি কিছুই করেননি।’
‘যারা রাজ্যে সরকারী সম্পত্তি ভাঙচুর করে তাদের গুলি করে হত্যা করা উচিত। আমি একটি বক্তৃতায় একথা বলেছিলাম এবং তারা (বিজেপি বিরোধীরা) এ সম্পর্কে প্রচুর হট্টগোল সৃষ্টি করেছিল। আমি একই জিনিসটির পুনরাবৃত্তি করব যে যারা জনসাধারণের সম্পত্তি ভাঙচুর করে তাদের গুলি করে হত্যা করা উচিত।’ উত্তর চব্বিশ পরগনার এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
আরও পড়ুন : পুরভোটের আগে তৃণমূলে বড় ভাঙন, বিজেপিতে যোগ প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের
‘এই অনুপ্রবেশকারীরা যারা জনসাধারণের সম্পত্তি ভাঙচুর করে তাদের কী করা উচিত?’ জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘তাদের কি প্রসাদ দেওয়া উচিত? যারা জনসাধারণের সম্পত্তি ভাঙচুর করেছে তাদের চিহ্নিত করা হবে। প্রথমে তাদের গুলি করা হবে এবং তারপরে বোমা মারা হবে। কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।’
রাজ্যে মুসলিম অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা ৫০ লক্ষ বলে দাবি করে দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন যে, বিজেপি রাজ্যে একবার ক্ষমতায় এলে এই লোকদের চিহ্নিত করা হবে এবং প্রয়োজনে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, প্রথমে তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে মুছে ফেলা হবে। এরফলে তৃণমূলের ভোট ব্যাংক হ্রাস পাবে এবং আগামী নির্বাচনে গেরুয়া দল ২০০ টি আসন পাবে।