মলয় দে নদীয়া: আজ ২৯ পৌষ অর্থাৎ পৌষ মাসের শেষ দিন মানে সংক্রান্তি। পৃথিবীর বৃহত্তম কালী মাতা পূজিত হয়ে আসছেন বিগত ৪১ বছর ধরে বছর ধরে। এত বড় পূজো কে কেন্দ্র করে ১০ দিনব্যাপী চলে উৎসব ও ইন্দ্রাগান্ধি গ্রামীণ মেলা। এটিপৃথিবীর সনাতন ধর্মালম্বী হিন্দুসমাজ অধ্যুষিত ভারত উপমহাদেশের শ্রী শ্রী মায়ের আবির্ভূতা ৫১ পীঠ পবিত্র ধর্ম স্থানে স্মরণীয়।
এলাহাবাদ গঙ্গা সাগরের মতো এখানেও গঙ্গার ত্রিধারা সঙ্গমস্থল মকর সংক্রান্তির স্নান যোগ নব তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। সুবিশাল মায়ের এই মূর্তিটি বিগত এক মাস থেকে নিরলস পরিশ্রম করে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও বানিয়েছেন বর্ধমান কালনা নিবাসী নারায়ণ দাস (পাচু)। উদ্যোক্তা রা জানান এ বছরের বিশেষ আকর্ষণ শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নিত্য গীত অনুষ্ঠান, শুকনো লঙ্কার যঞ্জ, গঙ্গাসাগর বিখ্যাত সাধু পরেশ ক্ষ্যাপার যঞ্জ। এছাড়াও প্রতিবছরের ন্যায় বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেরকুড়িটি বাউলশিল্পী ও সম্প্রদায়, সম্ভাবনা ব্যলেডান্স ট্রুপ, চারটি যাত্রা পালা, পুতুল নাচ ,নাটক, যোগ ব্যায়াম, কবিগান, সহ বিভিন্ন প্রায়হারিয়ে যাওয়া বাংলার সংস্কৃতি সামঞ্জস্য পূর্ণ নানা বিচিত্রা অনুষ্ঠান।
এই পূজাকে কেন্দ্র করে সুবিশাল মেলায় বিভিন্ন দুই হাজারের বেশি দোকান বসে বিক্রির উদ্দেশ্যে। ৯ মাঘ শুক্রবার যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বাঁকুড়ার বাদ্যযন্ত্রসহ প্রতিমা নিরঞ্জন। এই সুবিশাল মাতৃমূর্তি নিরঞ্জন পদ্ধতিটি বড়ই অদ্ভুত, গঙ্গা থেকে দশটি জল তোলা মেশিন চালিয়ে ধুয়ে নিরঞ্জন হয় মায়ের মূর্তি। জাগ্রত এই মায়ের পুজো উপলক্ষে সমাজের সব অংশের প্রত্যেক মানুষ হাজী থাকেন কোন না কোন দিন। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ হাজার লোকের সমাগম ঘটে এই মেলায়।