১২ই জানুয়ারী। সকাল এগারোটা। শরৎ সদন। এক আয়োজন। এক অনুষ্ঠান। এক ভিন্নতা। এক মন ভালো করার উপকরণ। প্রতিটি শব্দ সেই মুহূর্তগুলোকে এক বিশেষত্ব প্রদান করেছিল সেদিন। শ্রীপর্ণা ক্লাসিক্যাল মিউজিক ফাউন্ডেশনের এক অনবদ্য প্রয়াস। সাথে ছিল চাঁদের হাট। আর ছিল দর্শক মহলের এক নজিরবিহীন আগ্রহ। বুঝতে অসুবিধা হয়নি সংগীত তাঁরাও ভালোবাসেন। শুনতে চান বারবার শিল্পীর কণ্ঠ ও বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সৃষ্টি। অনুষ্ঠানের শুরুতে শ্রী অভীক গঙ্গোপাধ্যায়, শ্রী মানব গঙ্গোপাধ্যায় ও শ্রীমতি শ্রীপর্ণা গঙ্গোপাধ্যায় এর একমাত্র সন্তান শ্রীপর্ণা দেবীর জীবন, আদর্শ ও অভিজ্ঞতা মেলে ধরেন দর্শকদের সম্মুখে। পাশাপাশি শ্রী জয়দীপ মুখার্জী ও শ্রী আলয় গঙ্গোপাধ্যায় এর উচ্চারিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক শ্লোক ও সংগীত দর্শক মহলে এক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
শ্রীমতি স্বাতী গঙ্গোপাধ্যায় এর এক অনবদ্য সাঙ্গেতিক পরিবেশনার পাশাপাশি শ্রী দেবাঞ্জন ভট্টাচার্যের সরোদ ও পন্ডিত পার্থপ্রতিম রায়ের সেতার অনুষ্ঠানে এক অনন্য মাত্রা প্রদান করে। উল্লেখ্য দেবাঞ্জন রাগ শ্রীরঙ্গিনী ও পন্ডিত পার্থপ্রতিম রায় রাগ শ্রীচিত্রা বাজিয়ে দর্শকদের মন জয় করেন। এই দুটি রাগই প্রয়াত শ্রী শ্রীপর্ণা গঙ্গোপাধ্যায় এর সৃষ্টি, যা এই সংগীত জগতকে সমৃদ্ধ করবে, নিঃসন্দেহে! অনুষ্ঠানের শেষে সকল কিংবদন্তিদের হাতে সিডি তুলে দেন শ্রী অভীক গঙ্গোপাধ্যায়। সংগীত আমাদের জীবন। আমাদের অস্তিত্ব রক্ষায় এক অনবদ্য উপকরণ রূপে এক সক্রিয় ভূমিকা পালন করে, সর্বদা। জীবনের প্রতিমুহূর্তের ছন্দ প্রকাশিত হয়ে এই সংগীতের হাত ধরে। শ্রীপর্ণা ক্লাসিক্যাল মিউজিক ফাউন্ডেশন তাঁর যাত্রা শুরু করেছে। আগামীদিনে সে যেন তাঁর গন্তব্যে পৌঁছতে পারে, এই একমাত্র অভিলাষ।
“জীবন যেন মিশে যায় জীবনের সাথে
সুর, তাল, ছন্দের অনবদ্য অনুপ্রেরণায়ে”
– কুণাল রায়