দেশনিউজ

লোকসভায় বিজেপি-কংগ্রেসের আচমকা লড়াই, অধিবেশন মুলতুবি দেন অধ্যক্ষ

Advertisement

শুক্রবার লোকসভায় বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে কংগ্রেস ও বিজেপি, দুই বিরোধী দলের মধ্যে সংঘর্ষ এত তীব্র হয় যে অধিবেশন মুলতুবি কিরে দিতে হয়। রাহুল গান্ধীর ‘ডান্ডা’ মারা বিতর্কে শুরু হয় তুমুল হইচই। হাতাহাতিতে জড়িয়ে যায় বিজেপি ও কংগ্রেস সাংসদরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষবর্ধন প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ করার জন্য সমালোচনা করলে তাঁর দিকে তেড়ে যান দুই কংগ্রেস সাংসদ। তখন এক বিজেপি সাংসদ তাঁদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।

আগামী ছ’মাসের মধ্যে বেকাররা প্রধানমন্ত্রীর পিঠে ডান্ডা মারবেন।সম্প্রতি রাহুল গান্ধী বেকারত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এমনটা বলেন। রাহুল গান্ধীর কটাক্ষের পালটা জবাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস সাংসদকে ‘টিউবলাইট’ বলে কটাক্ষ করেন এবং বলেন, সূর্য প্রণাম করে তিনি নিজের পিঠ এত শক্ত করবেন যার ফলে হাজার ডান্ডা খেলেও কিছু হবে না। এদিন লোকসভায় রাহুলের মন্তব্যের সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তখন বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরি এর প্রতিবাদ করে জানান, সংসদের বাইরের মন্তব্য নিয়ে এখানে আলোচনা করা উচিত নয়। কিন্তু তার পরও সে কথায় কান না দিয়ে হর্ষবর্ধন নিজের বক্তব্য বলে যাওয়ায় কংগ্রেস সাংসদ মানিকম টেগোর ও হিবি ইডেন নিজেদের আসন থেকে রীতিমতো তেড়ে আসেন হর্ষবর্ধনের দিকে।

আরও পড়ুন : ৪৫ টিরও বেশি আসন নিয়ে সরকার গঠনের পথে বিজেপি

পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখে পিছন থেকে বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ সরণ সিং মানিকমকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন। কংগ্রেস সাংসদদের অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে থাকেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে। বিরোধী দুই দলের হাতাহাতি বেধে যাওয়ায় উতপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় অধ্যক্ষ অধিবেশন মুলতুবি করে দেন দুপুর অবধি ।

Related Articles

Back to top button