ম্যাগাজিন

প্রেম দিবসের চতুর্থদিন টেডি ডে, জেনে নিন এই টেডি বিয়ার সম্পর্কে কিছু অজানা ইতিহাস

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি : বাঙালি জীবনে প্রেম দিবস বলতে প্রথমেই মনে আসে সরস্বতী পুজো, একটা সময় আমরা এটাই মেনে এসেছি। কিন্তু এখন পাশ্চাত্য ছোঁয়ার স্পর্শে আমাদের আমদানি করা বিদেশী আদব-কায়দাতেও আমরা বেশ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি অজান্তে। তাই শুধুমাত্র এই ভ্যালেন্টাইনস ডে দিনটি নয়, তার আগের সাত দিন ধরে আমরা ভালোবাসার সপ্তাহটিকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করে চলেছি। আজ সেই ভালোবাসার সপ্তাহের চতুর্থ দিন অর্থাৎ আজ টেডি ডে। টেডি বিয়ার নাম টি শুনলেই যেন নরম তুলতুলে বেশ নাদুস নুদুস একটা হালকা রঙের পুতুল চোখের সামনে ভেসে ওঠে। সেই কারনেই এই টেডি শুধুমাত্র প্রেমিক-প্রেমিকাই নন, বাচ্চাদের কাছেও বেশ পছন্দের বিষয়।

জন্মদিন, অন্নপ্রাশনের মতো অনুষ্ঠানে আমরা প্রায়শই উপহার হিসেবে টেডি বিয়ার দিয়ে থাকি। এমন সুন্দর একটি মায়াবী খেলনা পুতুলের পেছনে রয়েছে একটি অদ্ভুত রহস্যময় ইতিহাস। ১৯০২ সালের নভেম্বর মাসে মিসিসিপিতে শিকারে বেরিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট। যখন অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তিনি একটিও ভালো শিকার পাননি, তখন তাকে খুশি করতে তার বন্ধুরা একটি কালো ভল্লুক ছানা ধরে এনে দেন। কিন্তু রুজভেল্ট এর মন তখন কেঁদে উঠেছিল, তিনি ওই ছানা টিকে মারতে পারেন নি।

‘ড্রইং দ্য লাইন ইন মিসিসিপি’ কার্টুন-এ এই গল্পটিই তুলে ধরেন কার্টুনিস্ট ক্লিফড বেরিম্যান। ছবির বিষয় ছিল বন্দুক হাতে রুজভেল্ট যার পিছনে ভয়ে কুঁকড়ে থাকা একটি ভল্লুক ছানা।

এমন কার্টুন ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ব্রুকলিনের খেলনার দোকানের মালিক মরিস মিচম, যিনি বানালেন একটি টেডি বিয়ার খেলনা। তিনি এই খেলনা টি দোকানে সাজিয়ে রাখার জন্য রেখেছিলেন। কিন্তু এক ক্রেতা দোকানে ঢুকেই এমন সুন্দর খেলনাটিকে কিনে নিতে চান। এই ভাবেই জন্ম আজকের দিনের প্রতীক এই টেডি বিয়ার এর।

Related Articles

Back to top button