রবিবার ৯ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার পচেস্ট্রুমে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের পরে কুৎসিত দৃশ্যের পরে তিনজন বাংলাদেশের খেলোয়াড় এবং দুই ভারতীয় খেলোয়াড় আইসিসির আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ফাইনালে বাংলাদেশের জয়ের পর উদযাপন চলাকালীন উভয় দলই লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছিল। যার জন্য বাংলাদেশের অধিনায়ক আকবর আলি এমনকি ক্ষমাও চেয়েছিলেন। ভারত অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ জানান অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।
বাংলাদেশের তিন খেলোয়াড় মহম্মদ তৌহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন ও রকিবুল হাসান ২.২১ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ভারতীয় জুটি আকাশ সিং এবং রবি বিষ্ণোইকে অপর একটি অভিযোগে ২.৫ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অন-ফিল্ড আম্পায়ার স্যাম নোগজস্কি, অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক, তৃতীয় আম্পায়ার রবীন্দ্র উইমালাসিরি এবং চতুর্থ আম্পায়ার প্যাট্রিক বোঙ্গনি জেল এর অভিযোগের ভিত্তিতে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ম্যাচ রেফারি গ্রিম লাব্রোই পাঁচ খেলোয়াড়কে শাস্তি শুনিয়েছেন। প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞাগুলি পাঁচ খেলোয়াড়ই স্বীকার করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন : লজ্জার রেকর্ড ভারতের, ৩-০ সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড
প্রাক্তন ভারতীয় খেলোয়াড় বিষণ সিং বেদী মাঠের মধ্যে ভারতীয় দুই অনূর্ধ্ব উনিশ খেলোয়াড়ের এরকম খারাপ আচরণের জন্য অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তিনি জানিয়েছেন “এই ধরনের আচরণ ভারতীয় সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না। আপনি ব্যাট, বল বা ফিল্ডিং খারাপ করেন এবং তার জন্য অজুহাত দেখান সেটা মেনে নেওয়া যায় তবে খারাপ আচরণ করার কোনও অজুহাত নেই এবং কোনো ক্ষমা নেই। আচরণটি ঘৃণ্য এবং সবচেয়ে লজ্জাজনক ছিল সেই বয়সের নির্দোষতা মোটেও দৃশ্যমান ছিল না।”