শ্রেয়া চ্যাটার্জী : ইচ্ছা থাকলে মানুষ কিনা করতে পারে। ইচ্ছাশক্তির বলেইতো মানুষ চাঁদে পাড়ি দিয়েছে। প্রবল ইচ্ছাশক্তি শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কাছেও হার মেনেছে এমন একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ দেখা গেল এক মাধ্যমিক ছাত্রের ক্ষেত্রে। সে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। না একথা নতুন কিছু নয়, তবে সে আর পাঁচটা সুস্থ স্বাভাবিক বাচ্চার মতন নয়।
জন্মের পর থেকেই তার শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রায় অচল। শুধু হাত টুকুই কোনমতে একটু নড়াচড়া করতে পারে। তার স্কুলের নাম ডিহিকলস হাই স্কুল। তার পরীক্ষার সিট পড়েছে মগরাহাটের অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল ইনস্টিটিউশনের। বাপির মাই তাকে কোলে করে স্কুলে নিয়ে এসেছেন পরীক্ষা দেওয়াতে।
উঠে বসতে পারে না বাপি। তাই বেঞ্চের উপর শুয়ে শুয়ে তাকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলো। অতিরিক্ত ৪৫ মিনিট ও তাকে দেওয়া হয়েছে। বাপির বাবা পেশায় একজন দর্জি। দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় করতে তার নাভিশ্বাস উঠে যায় সে কি করে তারে অসুস্থ ছেলে চিকিৎসা করবেন? কিন্তু ছেলে তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কে জয় করেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাইছে। সত্যি একেই বলে মনের জোর। যাকে সত্যি বাহবা জানাতে হয়। বেঞ্চের উপরে শুয়ে শুয়ে পরীক্ষা দিয়ে বাপি জানিয়েছে তার পরীক্ষা ভালই হয়েছে। আর ভালো হবে না টাই বা কেন? অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়ে কেউ যদি এইভাবে পড়াশোনা করে, সে তো সাফল্য পাবেই। এটাই তো স্বাভাবিক।