শহরে শান্তি ফেরাতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বৈঠকের পর জানালেন কেজরিওয়াল
দিল্লির উত্তপ্ত পরিবেশকে শান্ত করতে বৈঠকে বসেছিলেন অমিত শাহ, কেজরিওয়াল। বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে সমস্ত শহরে শান্তি ফেরানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করবে রাজনৈতিক দলগুলি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেনা নামানো হবে কি না সাংবাদিকদের সেই প্রশ্নের উত্তরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দরকার পরলে সেনার সাহায্য নেওয়া হবে। কিন্তু, এখন পুলিশই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশকর্মী উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে মোতায়েন করা হবে বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
শনিবার রাত থেকে উত্তর-পূর্ব দিল্লির জাফরাবাদের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। আর সোমবার ব্রহ্মপুরী, গোকুলপুরী এলাকায় দফায় দফায় হওয়া সংঘর্ষের জেরে এখনও পর্যন্ত মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন প্রায় ১৬০ জন। মঙ্গলবার সকাল নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কর্দমপুরী ও ভজনচক পুরা এলাকা। সেখানে গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটে বলে অভিযোগ। গোকুলপুর টায়ার মার্কেট জ্বালিয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা। মঙ্গলবার সকালেরও সেই মার্কেট থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গিয়েছে। মার্কেটের সামনে একাধিক যানবাহন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ভেঙে দেওয়া হয়েছে গাড়ির কাচ। বাবরপুর ও মৌজপুরে নতুন করে সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন : দফয় দফায় সংঘর্ষে চলেছে দিল্লির বিভিন্ন এলাকায়, নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭
দিল্লির বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর এই প্রসঙ্গে বলেন, যে বা যারা এই ঘটনার মূলে তারা যে রাজনৈতিক দলেরই হোক না কেন তারা ছাড়া পাবেনা। কেউ যদি উসকানিমূলক বক্তব্য রাখে তাহলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে। সে কপিল মিশ্র হোক আর অন্য কেউ হোক। বিজেপি সাংসদের এবং মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য শুনে হিংসা ছড়ানোর জন্য সোজাসুজি কেন্দ্রকে দায়ী করেছেন হায়দারবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। মঙ্গলবার এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন হিংসার এই ঘটনা রাষ্ট্রের মদতেই হচ্ছে।