উত্তপ্ত রাজধানী, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়ন ৩৫ কোম্পানি আধাসেনা, এক হাজার পুলিশকর্মী
দু’দিনের ভারত সফরে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘নমস্তে ট্রাম্প’-এর আয়োজনের মাঝেই উত্তপ্ত রাজধানী। রাজধানীর রাজপথে এতটাই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যার ফলে পুলিশ মোতায়েন করেও হিমসিম খাচ্ছে দিল্লির প্রশাসন। উত্তরপূর্ব দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যেই ৩৫ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তপ্ত এলাকায় রুট-মার্চ চালাচ্ছে অন্তত ১ হাজার পুলিশকর্মী। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের এবং প্রায় ১৫০ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।
দিল্লির এই পরিস্থিতি নিয়ে স্বভাবতই উদ্বিগ্ন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আইন শৃঙ্খলার যেহেতু তার হাতে নেই তাই পুলিশ মোতায়েন বা তিনি তার নির্দেশ কার্যে রূপান্তরিত করতে পারছেন। এদিন সকাল থেকেই তাকে দেখা গেছে বিভিন্ন উত্তপ্ত ও অশান্ত জায়গায় ছুটে যেতে। তবে তাকে পুলিশ এগিয়ে যেতে বাঁধা দেয়। বিক্ষোভকারীরা এতটাই হিংসাত্মক ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে যথারীতি হিমসিম খেতে হয়েছে দিল্লির পুলিশকে।
আরও পড়ুন : বৈঠক করেও কাজ হল না, দিল্লির সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩
এমন অবস্থা নিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক করেন কেজরিওয়াল। অমিত শাহ নিজে আলাদা আলাদাভাবে নিজের দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে অমিত শাহ নির্দেশ দিয়েছেন, সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের বিশেষ সময়ে রাস্তায় নামাতে। কন্ট্রোল রুমেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ অফিসারদের নিয়োগ করতে, যাতে কোনওরকম গুজব সহজে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সাধারন মানুষের মধ্যে। এত সাবধানতার পরেও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নয়। যা অবস্থা তাতে যে কোনও সময় সেনা নামানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যা রাজধানী জন্য লজ্জার মুহূর্ত হতে পারে বলে দাবি করছে বিরোধীরা।
উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করতে দিচ্ছে না বিক্ষোভকারীরা। কোনো মানুষ জখম হলে তাকে মোটর বা সাইকেলে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। এমন অবস্থায় দিল্লির পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে, জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য।