চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দেদার ফাঁস হয়েছে প্রশ্নপত্র। পর্ষদ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে। কিন্তু পরীক্ষা শেষে দেখা গিয়েছে হুবহু মিলে গিয়েছে আসল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্র। ৪২ টি ব্লকে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হলেও প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে সফল হয়নি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
আগামীকাল রাজ্যে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে। সমস্ত পরীক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবে। তাদের কাছে মোবাইল ফোন আছে কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে। এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন ওই এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : ফের মেট্রো বিভ্রাট, শ্যামবাজারে সুড়ঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আটকে এসি মেট্রো
এছাড়া যদি ছাত্র ছাত্রীদের কাছে মোবাইল ফোন, টুকলি পাওয়া যায় তবে তার পরীক্ষা বাতিল করা হবে। বাতিল হতে পারে রেজিস্ট্রেশনও। পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষকদের উপর হামলা, পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো অশান্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ওই গোটা ঘটনায় যদি স্কুলের গাফিলতি প্রমাণিত হলে বাতিল করা হতে পারে অনুমোদন। প্রশ্নপত্র প্যাকেটে বারকোড থাকবে বলে জানিয়েছেন সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস। এবার পরীক্ষার্থী গতবারের তুলনায় কমেছে ৫ হাজার। অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে ২৫০ টি কেন্দ্রে থাকবে মেটাল ডিটেক্টর।