শ্রেয়া চ্যাটার্জি : করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে গোটা বিশ্ব আতঙ্কিত। আর এর প্রভাব পড়েছে মুরগী ব্যবসায়। গুজব রটেছে যে, মুরগীর মাংসতে নাকি করোনা ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে। যা খেলেই আপনার করোনাভাইরাস হতে বাধ্য। এই ভয়েতে মুরগীর মাংস কেনা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে মানুষ। শুধু তাই নয়, খাসির মাংস এমনকি সামুদ্রিক মাছ ও কিনছে না কেউ। যার ফলে এই ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন : গ্রাম থেকে বিদেশে পাড়ি, বিশ্ববাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ বছরের বৃদ্ধের আঁকা ছবি
চিকেন, মাটনের জায়গা করে নিয়েছে কাঁঠাল। এমনিতে ও যারা নিরামিষভোজী তাদের কাছে মাছ-মাংসের একটা বিকল্প কিন্তু কাঁঠাল, কাঁঠাল কে এমনিতেই ‘গাছ পাঁঠা’ বলা হয়। তবে এখন চিকেন, মাটন এর জায়গায় আমিষ ভোজী পাতেও কাঁঠাল বিকল্প হিসাবে দেখা দিচ্ছে। আর তাই জন্য কাঁঠালের দামও আকাশ ছুঁয়েছে প্রতি কিলো ১২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। যেখানে মুরগির মাংস দাম প্রতি কিলো ৯০ টাকা। সেখানে কাঁঠালের দাম প্রতি কিলো ১২০ টাকা সত্যি ভাবা যায় না। অনেকেই তো মজা করে বলছেন চিকেন বিরিয়ানি খাওয়ার থেকে এখন কাঁঠাল বিরিয়ানি খাওয়া টা অনেক বেশি ভালো।
চিকেন ব্যবসায়ীদের মাছি তাড়াতে হচ্ছে। তবে মাটনের দামটা এই সুযোগে অনেকটাই বেড়ে গেছে। তবে অনেকে আবার এইসব কে তোয়াক্কা না করেই তাদের ইচ্ছা মতন চিকেন, মাটন খেয়ে যাচ্ছেন।আর খাবেন নাইবা কেন ডাক্তাররা পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছেন চিকেন, মাটন থেকে কোনভাবেই করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে না। কিন্তু মানুষের আতঙ্ক যাবে কোথায়? আতঙ্কের জায়গাটা এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে এক ট্রাকভর্তি জ্যান্ত মুরগীকে কবর দেওয়া হচ্ছে। মুরগীর দোকানে এক কিলো মুরগীর সঙ্গে আড়াইশো পেঁয়াজ বিনামূল্যে পাওয়া যাবে শুনেও ক্রেতা মুরগীর মাংস কিনতে আসেননি।
আরও পড়ুন : হোলির রঙে সেজে উঠবে গোটা দেশ, দেখেনিন কোথায় কি নামে পালিত হয় হোলি
সাধারণ মানুষ তাই বেছে নিয়েছেন এই কাঁঠালকে। তবে এখনও কাঁঠাল কিন্তু বাজারে সেইভাবে পাওয়া যাচ্ছে না, কারণ কাঁঠাল গ্রীষ্মের ফল। বড় বড় শপিং মল গুলিতে এবং বড় বড় বাজারে আপনি গেলে হয়তো কাঁঠাল পেতে পারেন, কিন্তু সবাইকে আপাতত গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল দিয়ে থাকতে হবে। আর এত দামের জন্য সবার পক্ষে কাঁঠাল কিনে খাওয়াটাও সম্ভব না।