দীর্ঘদিন বন্দী থাকার পর মুক্তি পেলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ। গত ৫ অগস্ট থেকে গৃহবন্দি ছিলেন তিনি। সাত মাস পর তাকে মুক্তি দেওয়া হল৷ শুধু তিনিই নন, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের আগে ফারুক আব্দুল্লাহ সহ কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, মেহেবুবা মুফতি এবং কয়েকশো রাজনৈতিক নেতাকর্মীকেও গৃহবন্দি করা হয়। ফারুক আব্দুল্লাহকে গৃহবন্দি করে রাখায় ইতিমধ্যেই অনেক সমালোচনা হয়েছে।
যেখানে বহু বিদেশি প্রতিনিধি কাশ্মীরে গিয়েছেন অথচ দেশের সাংসদকে করে রাখা হয়েছে গৃহবন্দী। অধীর চৌধুরী যিনি কংগ্রেস দলনেতা এবং বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তিনি শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে সকলের সামনে বলেছিলেন, ফারুক আবদুল্লা সাংসদ কিন্তু সভায় নেই কেন, উনি কোথায় এ প্রশ্ন করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন : গোটা বিশ্বকে গ্রাস করছে করোনা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০০০
ফারুক পুত্র ওমরকে দেখে কষ্ট পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই মাস আগে ওমরের ছবি দেখে ওর যন্ত্রনায় ব্যথিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ও বিভিন্ন মহলে হইচই পড়ে তাদের বন্দিদশা নিয়ে।
তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে বলেছিলেন , ধীরে ধীরে এক এক করে সব নেতাকে দেওয়া হবে মুক্তি। জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন গত ডিসেম্বর থেকেই গৃহবন্দী নেতাদের মুক্তি দেওয়া শুরু করার পর অবশেষে সাত মাস পর মুক্তি পেলেন ফারুক আব্দুল্লাহ।