ঋণখেলাপের অভিযোগে অনিল আম্বানি, বাজেয়াপ্ত হতে পারে বিশাল সম্পত্তি
২০১২ সালে চিনের তিনটি ব্যাঙ্ক থেকে ৯২ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার ঋণ নিয়েছিল ভারতীয় শিল্পপতি অনিল আম্বানির মালিকানাধীন সংস্থা রিলায়েন্স কমিউনিকেশন লিমিটেড। ব্যক্তিগত গ্যারেন্টার ছিলেন অনিল নিজেই। কিন্তু সময়ে সেই ঋণ পরিশোধ না করায় লন্ডনের একটি আদালতের দ্বারস্থ হয় ওই তিনটি ব্যাঙ্ক। ৭০ কোটি ডলার অর্থাৎ ৫২৬২ কোটি টাকা দাবি করে মামলা দায়ের করে অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে।
সেই মামলায় লন্ডনের আদালত শুক্রবারের মধ্যে ৭৫২ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় অনিল আম্বানিকে। অনিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যান, যাতে টাকা জমা দেওয়ার সময় কিছুটা হলেও পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার অনিলের দাবি নাকচ করে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, টাকা ফেরত দিতে হবে শুক্রবারের মধ্যেই। নচেৎ এই মামলায় হার স্বীকার করতে হবে আম্বানির বড় ভাইকে। সেক্ষেত্রে দেশে ও বিদেশে থাকা অনিল আম্বানির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে টাকা তুলবে চিনের ব্যাঙ্কগুলো।
আরও পড়ুন : আজ শনিবার, একনজরে দেখুন পেট্রোল, ডিজেল, সোনা, রুপো এবং গ্যাসের দাম
প্রসঙ্গত, এর আগেও ঋণখেলাপের মামলায় জেলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল অনিল আম্বানির। সে যাত্রায় ভাই মুকেশ আম্বানি টাকা দিয়ে বাঁচিয়ে দিয়েছিল বড় দাদাকে। সেই মুকেশ আম্বানি বর্তমানে তেলের দাম কমে যাওয়ায় সমস্যায় রয়েছেন। ফলে দাদাকে সাহায্য করতে কতটা এগিয়ে আসবেন তিনি, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। এদিকে, অনিল আম্বানি আদালতে নিজেকে গরীব বলে দাবি করলেও, আদালতের পর্যবেক্ষণ অনিল এমন এক পরিবারের সদস্য যাদের হাতে অঢেল সম্পত্তি রয়েছে। তাই পরিবারের কারো কাছ থেকে অনিল সাহায্য নিয়ে ঋণ পরিশোধ করতেই পারেন বলে অভিমত আদালতের।