শ্রেয়া চ্যাটার্জি : করোনার আতঙ্কে গোটা বিশ্ব আতঙ্কিত। চীন ইতালি ইরান ফ্রান্সের পরিবার আশঙ্কা ভারতেও যাতে না হয় এখানেও যাতে মহামারীর আকার ধারণ না করে সেটা দেখা অত্যন্ত জরুরী । এখনো পর্যন্ত বাতাসে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েনি, কারণ আপাতত রোগের লক্ষণ যা বলছে তাতে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদেরই এটা হচ্ছে। কিন্তু এটিকে কখনোই সকলের মধ্যে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেই দিকে খেয়াল দেওয়া উচিত। কারণ তাহলে হয়তো চিন, ইটালির থেকে ও অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হবে ভারতবর্ষে। যা সত্যি কারোরই কাম্য নয়। ইতালির অবস্থা দেখে আমাদের সত্যি ভয়েতে শিউরে যাওয়ার মতন অবস্থা।
আরও পড়ুন : পুরীর মন্দির তো অনেকেই গেছেন, জানেন কি এর রহস্য?
করোনা থাবা বসিয়েছে ধর্মীয় স্থান গুলিতেও, এখন এই মুহূর্তে সমস্ত মসজিদ, মন্দির, গীর্জা সব বন্ধ। খোলা আছে শুধু হসপিটাল গুলো। মানুষের ভরসা বিজ্ঞানের উপর। উচ্চ, নীচ, দরিদ্র, ধনী জাতপাতের বেড়াজালে মানুষ আর আবদ্ধ নেই। যে মানুষটা কালকে পর্যন্ত সে তার প্রেম কে টিকিয়ে রাখবে বলে বা চাকরি টিকিয়ে রাখবে বলে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল সেই মানুষটা আজকে শুধু চায় একটু বাঁচতে। গোটা বিশ্বের অবস্থাটা ভীষণ করুন। আর করোনার থাবা পড়েছে এবার ব্যারাকপুরের কালীপুজোর মেলাতে। নাগরদোলা, দোকানপাট সব সম্পূর্ণ তৈরি হওয়ার পরে সরকারি নির্দেশে মেলা বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। কারণ সরকার থেকে জানানো হয়েছে বেশি জমজমাট পূর্ণ এলাকা জেন না তৈরি হয়। মানুষের ভালোর জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া। কিন্তু যে মানুষগুলোর রুটি-রোজগার মেলা থেকে আসে তাদের মাথায় হাত পড়েছে। পেট তো আর করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে বসে থাকবে না। বাড়িতে সংসার নিয়ে এই মানুষগুলো কি করবেন সেটাই ভেবে পাচ্ছেন না। কিন্তু সরকারের তরফ থেকেও কিছু করার নেই। চীন, ইতালি, ইরানের দৃষ্টান্ত আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে আমরা যদি সচেতন না হই তাহলে ঐরকম শ্মশান হয়ে যাবে আমাদের দেশ ও।
ব্যারাকপুরের এই কালি পুজো যথেষ্ট জাগ্রত, এবারে ৫৯ বছরে পড়েছে। কালী ঠাকুরের উচ্চতা ১৫ হাত। তা দেখার জন্য এবং এই মেলাতে যোগদানের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে মানুষের আগমন হয়। যে মেলাপ্রাঙ্গণ আগের বছরও জনমানব একেবারে ভর্তি ছিল, সেই মেলাপ্রাঙ্গণ আজ শুন্য। আশেপাশের মানুষদের মন খারাপ কিন্তু প্রত্যেকের ভালোর জন্য যাতে ভারতবর্ষএও ইতালির মতন অবস্থা না দেখতে হয় তার জন্য আমাদের এই একটুখানি জিনিস মেনে নিতেই হবে। আনন্দটা নয় পরের বছরের জন্য তোলা রইলো। কিন্তু সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকাটা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।