করোনা ভাইরাস ছড়ানোর পর থেকে রাজ্য জুড়ে গুজব উঠেছে যে, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য আর পাওয়া যাবেনা। আর এই গুজবের ফলে সাধারণ মানুষ একবারে একমাসের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য কিনে রাখছে। ফলে কাঁচা সবজি থেকে মুদিখানার জিনিসপত্রে ভাটা পড়েছে। আর এই সুযোগে কালোবাজারি শুরু করেছে একদল অসাধু ব্যবসায়ী। নিজেদের ইচ্ছা মতো দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করা শুরু করেছে তারা। এই দুইয়ের চাপে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের।
এই পরিস্থিতিতে আজ রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে হানা দিলো টাস্ক ফোর্স, ইবি এবং পুলিশ। কোন বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর কেমন দাম তা তারা ক্ষতিয়ে দেখবেন। মুখ্যমন্ত্রী দুদিন আগেই সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, রাজ্যে খাদ্যদ্রব্য যথেষ্ট পরিমাণেই মজুত আছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো গুজবে কান না দিতে অনুরোধ করেন তিনি সকলকে। কিন্তু তার সেই অনুরোধে যে আদৌ কোনো কাজ হয়নি তা পরিষ্কার।
আরও পড়ুন : করোনার জেরে স্থগিত রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক ও একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা
এখনো পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত মাত্র তিনজন। কিন্তু তাতেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে সাধারণ মানুষকে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার গুজব। ফলে বাজারে সবজি থেকে শুরু করে চাল, ডাল সহ সকল জিনিসেরই অভাব দেখা যাচ্ছে। আর এর সুযোগ নিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। সাধারণ খাদ্যদ্রব্য দ্বিগুণ, তিনগুণ দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের তরফে প্রতিটা বাজারে নজরদারি চালানো হচ্ছে। ছদ্মবেশে বা পরিচয় দিয়ে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বাজারে এতো দামের কারণ কি। আজ ইবির আধিকারিকরা শিয়ালদহের কোলে মার্কেটে অভিযান চালান। সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু খাদ্যদ্রব্যের দাম বেঁধে দেওয়া হয়। একইভাবে ডায়মন্ডহারবার বাজারেও অভিযান চালানো হয় পুলিশের তরফে। এখন দেখার পরিস্থিতি কতটা উন্নত হয়।