করোনা আটকাতে রাজ্যের ভূমিকার প্রশংসা করল কেন্দ্র, বরাদ্দ করল অর্থ
সারা বিশ্বে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে কোভিড ১৯। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে ছড়িয়ে পড়া এই মারণ রোগে দিশেহারা অবস্থা প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর। চিনের পর ইতালি, স্পেন, জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, কানাডা, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র সহ একের পর এক উন্নত দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ভারতেও বাড়ছে সংক্রমণ। কেরালা ও মহারাষ্ট্রে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংখ্যাটা। দেশে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। সেদিক থেকে অনেকটা সচেতন পশ্চিমবঙ্গ। দেশ জুড়ে প্রধানমন্ত্রী লকডাউন জারি করার আগেই পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু তাই নয়, দেশের মধ্যে সবচেয়ে প্রথম করোনা হাসপাতাল গড়ে তুলতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজকে প্রস্তুত করছে সরকার। এছাড়াও লকডাউনের সময় মানুষের যাতে কোন অসুবিধা না সেদিকে কড়া নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। সংকটের দিনগুলোতে রাস্তায় নেমে কালোবাজারি আটকানো, দরিদ্র মানুষের হাতে চাল, আলু তুলে দেওয়া সবই নিজে দাঁড়িয়ে থেকে করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এমন উদ্যোগে খুশি কেন্দ্র, প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন রাজ্যকে। করোনা আতঙ্কের মধ্যে রাজ্যের হাল-হকিকত জানতে প্রত্যেক রাজ্যের মতোই এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফোন করে রাজ্যের খোঁজখবর নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তাঁরা দুজনেই এদিন করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
এছাড়াও ফোন করে খোঁজখবর নেন করোনা সংক্রমণ বিষয়ে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাবিনেট সদস্য, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাজ্যে করোনা ঠেকাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, কেন্দ্রের গাইডলাইন কতটা মেনে চলা হচ্ছে, লকডাউনের সময় মানুষ সমস্ত সুবিধা পাচ্ছে কিনা, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা মেনে চলা হচ্ছে কিনা – সে সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জমা দেন।
এরপরই, রাজ্যের তরফে আবেদন জানানো ১৫০০ কোটি টাকার বিষয়ে ইতিবাচক ঈঙ্গিত দেন কেন্দ্র। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যকে ১১০০ কোটি টাকা অর্থসাহায্য পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকার। আটকে থাকা বুলবুলের ক্ষতিপূরণের টাকা এদিন মঞ্জুর করে কেন্দ্র।