অসাধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই বাড়ি, প্রতি বছর ৫ লক্ষ লিটার বৃষ্টির জল ধরে রাখতে সক্ষম
শ্রেয়া চ্যাটার্জি- ১০০০ বর্গফুটের একটি অসাধারণ বাড়ি তৈরি হয়েছে চেন্নাইতে। প্রতিবছর এই বাড়িটি ৫ লক্ষ লিটার জল সঞ্চয় করতে পারে। বৃষ্টির জল এবং বাড়ি থেকে নির্গত নোংরা জল কে পরিশুদ্ধ করে পরিষ্কার জল তৈরি করা হচ্ছে। অরুন কে এস, চেন্নাইয়ের একজন ফিনান্সিয়াল কনসালটেন্ট তিনি জানান, শহরেরই কোলাহলপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে চাইছি আমরা প্রত্যেকেই। এখন কংক্রিটের জঙ্গল আর ভালো লাগেনা। তিনি চেন্নাই তে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার জীবন যাপন এই চেন্নাই দেই কিন্তু এই চেন্নাইয়ের এত বেশি ট্রাফিক এত বেশি শব্দ এবং বায়ু দূষণ তিনি আর নিতে পারছিলেন না। তাঁর কন্যারাও চেন্নাইতে বড় হয়েছেন এবং সেখানেই পড়াশোনা করেছেন কিন্তু তিনি তারপর ভেবে নেন এখানে আর বেশিদিন থাকবেন না।
তারপর তিনি আয়াপাক্কামে ১৮০০ বর্গফুটের একটি জমি কেনেন, এই জায়গাটি চেন্নাই থেকে বেশ দূরে। তিনি চেয়েছিলেন এমন একটি বাড়ি বানাতে যেটি খুব সাধারন হবে কিন্তু অসাধারণ একটি কাজের বাড়ি হবে কিন্তু তারই ধারণাটি যারা বাড়ি বানাচ্ছিলেন তারা বুঝতে পারছিলেন না।
তারপরে যে বাড়িটি তৈরি হয় এটি ‘basic economical home’ মডেল হিসাবে তৈরি হয়। যেখানে বাড়িটি বানানো হয়েছে সমস্ত পরিবেশবান্ধব জিনিস দিয়ে। বাড়িটিতে আছি বৃষ্টির জল কে ধরে রাখার জন্য জায়গা এবং একটি অর্গানিক টেরেস গার্ডেন। এছাড়াও এটি ‘self sustainable home’ হিসেবেও পরিচিত। কারণ এই বাড়িটিতে কোনরকম বাইরে থেকে শক্তির প্রয়োজন হয় না সূর্যের রশ্মি থেকে তৈরি হয় সৌরশক্তি যা দিয়ে পাখা, লাইট চলে। এবং সবচেয়ে মজার কথা বাইরের বাতাস থেকে জল তৈরি করতে পারে, সেই জল খাবার উপযুক্ত। তাছাড়া নোংরা জল কে পুনরায় পরিশোধিত করতে পারে।
তবে এই ১০০০ বর্গফুটের বাড়িটি বাঁচাতে পারবে প্রতিবছর ৫ লক্ষ লিটার জল। তবে যে সংস্থাটি এই ধরনের বাড়ি বানিয়েছেন তারা জানান যে প্রায় ১০০ টি গ্রামে তারা এই ধরনের বাড়ি বানাতে চান। শহরাঞ্চলেও অনেক বাড়ি বানানো হয়েছে যেগুলো সৌর শক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় এবং বৃষ্টির জলকে ধরে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।
গতবছর তামিলনাড়ুতে যে রকম জলকষ্ট দেখা দিয়েছিল, এই রকম পরিস্থিতি ভারতের যেকোনো জায়গায় যে কোন সময় হতে পারে। তাই আমাদের প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে। আমরা প্রত্যেকেই বাড়ি যদি এইরকম ভাবে তৈরি করি তাহলে বৃষ্টির জল দিয়ে আমাদের প্রয়োজন মিটে যাবে, দিনকে দিন যেভাবে গরম বাড়ছে তার জন্য সৌর শক্তির অভাব ঘটবে না, আর এই সৌর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা যদি বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারি তাহলে আমাদের খনিজ সম্পদ অনেক পরিমাণে সঞ্চিত হবে যা আমাদের সকলের জন্য ভীষণ প্রয়োজন।