জানেন কি মেয়েদের প্রথম কোন বয়সে পিরিয়ড শুরু হলে জীবন সুস্থ সাচ্ছন্দ্য হয়!
পিরিয়ড সৃষ্টিকর্তা কতৃক নির্ধারিত, নারী চরিত্রের প্রকৃতিপ্রদত্ত একটি নিয়ম। আর এই পিরিয়ড প্রতিটা মেয়েরই একটি নির্দিষ্ট বয়সেই হয়। প্রায় ৫০০০০ মেয়েদের উপর পরীক্ষা চালিয়ে প্রথম বার পিরিয়ডের সময় তাদের বয়স কতো ছিল তা জানা গেছে। আর এই সময় জানা থেকেই একটা ধারণা আসে যে, ঠিক কত বছর বয়সে প্রথম বার পিরিয়ড হলে মেয়েদের জীবন ও যৌবন সুস্থ হয়। জেনে নিন বিস্তারিত।
এমনটা মনে করা হয় যে একজন মেয়ের একজন মেয়ের প্রথম পিরিয়ড এবং তার আয়ু হাতে হাত রেখে চলে। এরকম টা দেখা যায় যে, যার প্রথম পিরিয়ড টিনএজ বয়সের যত শেষ দিকে হয়েছে সে তত বেশি বয়স পর্যন্ত বেঁচেছে। রিসার্চ টিম এটা দেখেছে যে, একটা মেয়ের সবথেকে কম যে বয়সটায় পিরিয়ড হতে পারে সেটা হল ১২ বছর। কিন্তু আবার এটা দেখা গেছে যে, যাদের ১২ বছরের পর প্রথম বার পিরিয়ড হয়েছে তাদের গড় আয়ু অন্যদের তুলনায় বেশি।
রিসার্চে আরও আবিষ্কার হয়েছে যে, মেয়েদের প্রথম পিরিয়ডের সময় তাদের গড় বয়স হয় ১২ এবং শেষ পিরিয়ডের সময় বয়স ৫০। তবে অনেকের ১২ বছরের আগে শুরু এবং এদিকে ৪৫ বছরের আগে শেষ হতেও দেখা গেছে। রিসার্চের ফলে জানা গেছে যে, যাদের প্রথম পিরিয়ড ১১ বছর বা তারও আগে হয়েছে তাদের প্রিম্যাচিওর মেনোপজের (পিরিয়ড বন্ধ) সম্ভাবনা প্রবল”।
সাধারণত মেনোপজের সাধারণ বয়স ৫০ বছর। কিন্তু যাদের ১২ বছর বা তারও আগে প্রথম বার পিরিয়ড হয়েছে তাদের মেনোপজ (পিরিয়ড বন্ধ) সাধারণত ৪০ থাকে ৪৪ বছরের মধ্যে শুরু হয়। আর একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যেটা এই রিসার্চে দেখা গেছে সেটা হলো, সিগারেট মেয়েদের এই নির্দিষ্ট সময়ে পিরিয়ড হওয়া বা মেনোপজ হওয়ার উপর প্রভাব ফেলে। তাই সিগারেট খেলে এটা থেকে সাবধান হন।